কেএনএফ সন্দেহে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৭
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2024/04/23/whatsapp_image_2024-04-23_at_18.25.52.jpeg?itok=69Pwl5g6×tamp=1713876957)
বান্দরবানের রুমায় সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা সন্দেহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তার ৭ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) বিশ্বজিৎ সিংহ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-লাল নুন নোয়াম বম (৬৮), লাল দাভিদ বম (৪২), চমলিয়ান বম (৫৬), লাল পেক লিয়ান বম (৩২), ভান মুন নোয়াম বম (৩৩), লাল মিন বম (৫০) ও ভান বিয়াক লিয়ান বম (২৩)।
পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার রুমা সদর ইউপির মুনলাই পাড়া থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। এছাড়া বান্দরবানের মিলনছড়ি পুলিশ চেকপোস্ট থেকে একজনকে আটক করে পুলিশ।
তাদের মধ্যে ভান মুন নোয়াম বম (৩৩) রুমা উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি।
তবে, গ্রেপ্তারের ঘটনার পর আজ সকালে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ভান মুন বমকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মানিককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কেএনএফের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা সন্দেহে এক নারীসহ ৭ জনকে রুমা অস্ত্র লুটের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।'
এ নিয়ে এ পর্যন্ত ২২ নারীসহ মোট ৭৮ জনকে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনায় করা ৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে।
ঘটনার পর থেকে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান আছে।
Comments