চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে, গ্রেপ্তার ৭
চট্টগ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিসের ক্যামেরাপারসন সেলিম উল্লাহ।
এ ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ডবলমুরিং জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সব্যসাচী মজুমদার দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।
রোববার রাত সোয়া ১০টার দিকে বন্দরনগরীর মনসুরাবাদ ডিবি অফিসের পাশে স্থানীয় যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন ও প্রতিপক্ষ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সে সময় সাংবাদিক সেলিম উল্লাহ মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করতে গেলে, সাদ্দামের অনুসারীরা তার ওপর হামলা চালিয়ে মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে।
হামলার শিকার সেলিম উল্লাহ বলেন, 'আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। আমি সেখানে ভিডিও ধারণ করছিলাম। হঠাৎ আমার ওপর হামলা চালায় সাদ্দাম হোসেন ও তার অনুসারীরা। তারা মারতে মারতে আমাকে পাশের একটি খালি জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ও একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা চালায়। স্থানীয়রা চলে এলে সাদ্দাম বাহিনী সেখান থেকে চলে যায়।'
সেলিমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। তিনি চোখে ও পায়ের লিগামেন্টে আঘাত পেয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
হামলার ঘটনায় রাতেই ডবলমুরিং থানায় মামলা হয়।
সহকারী পুলিশ কমিশনার সব্যসাচী মজুমদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকের ওপর হামলা হয় পিডব্লিউডি কোয়ার্টারের সামনে। হামলাকারীরা সাংবাদিক মারধর করে ও তার ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে।'
'অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমরা অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করি,' বলেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনসুরাবাদ এলাকায় ফুটপাতে অবৈধ ফার্নিচার মার্কেট গড়ে তুলেছেন যুবলীগ নেতা সাদ্দাম। চট্টগ্রামের এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবেই তিনি এলাকায় দাপট দেখান এবং কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করেন।
Comments