আম্মান ও দ্বীন ইসলামের ‘খণ্ডিত’ সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে: ডিএমপি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের 'খণ্ডিত' সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
আজ রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খ মহিদ উদ্দিন এ কথা বলেন।
এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আম্মান ও দ্বীন ইসলামের 'খণ্ডিত' সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তবে এই সংশ্লিষ্টতার গভীরতা কতখানি, সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলে জানান তিনি।
খ মহিদ উদ্দিন বলেন, 'বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্নভাবে তথ্যগুলো এসেছে। এর খণ্ডিত অংশের সত্যতা হয়তো আছে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ, একেবারে যেভাবে কথাগুলো এসেছে সবগুলো যে মিলে গেছে, সেভাবে বলা যাবে না। তবে প্রাথমিকভাবে সত্যতা আছে বলেই আমাদের কাছে মনে হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'এই সংশ্লিষ্টতার গভীরতা কতখানি সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। আমাদের যতটুকু কাজ ছিল সেটুকু আমরা করে দিয়েছি, এখন কুমিল্লা কোতোয়ালি থানা পুলিশ তদন্ত করবে।'
ডিএমপির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'গতকাল রাতে অবন্তিকার মা তসলিমা বেগম বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে দুজনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের কোতোয়ালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।'
গতকাল শনিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিন দুপুরে শিক্ষার্থী আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা করতে ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে ১২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা।
Comments