অপরাধ ও বিচার

নোয়াখালীতে স্ত্রী-কন্যা-শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম

আজ শুক্রবার ভোরে সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নোয়াখালী
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

পারিবারিক কলহের জেরে নোয়াখালীর সেনবাগে স্ত্রী-মেয়ে ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আহতদের মধ্যে দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

আজ শুক্রবার ভোরে সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ঘটনার পরই অভিযুক্ত আমির হোসেন (৫০) পালিয়ে গেছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৬ বছর আগে আমির হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় ফাতেমা বেগমের। এই দম্পতির ঘরে তিন সন্তান থাকার পরেও আমির হোসেন কয়েক বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ নিয়ে সংসারে কলহ দেখা দেয়।

সম্প্রতি ফাতেমা বেগম দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ইদিলপুর গ্রামে বাবার বাড়ির পাশে নতুন বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন। এটা মেনে নিতে পারেননি আমির হোসেন। আজ ভোরে ফাতেমা নামাজ পড়তে উঠলে তিনি ঘরে ঠুকে তাকেসহ শাশুড়ি মাফিয়া বেগম ও মেয়ে রাবেয়া আক্তারকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপান।

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে মাফিয়া বেগম ও মেয়ে রাবেয়া আক্তারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাহিদ হাসান ডেইলি স্টারকে জানান, দায়ের কোপে ফাতেমা বেগম ও মাফিয়া বেগমের হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার অবস্থা হয়েছে। এছাড়া ফাতেমা বেগমের মাথা, কপালসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম হয়েছে। রাবেয়া আক্তারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Workers rights vs corporate profits

How some actors gambled with workers’ rights to save corporate profits

The CSDDD is the result of years of campaigning by a large coalition of civil society groups who managed to shift the narrative around corporate abuse.

10h ago