বগুড়ার বিএনপি নেতা আনোয়ার ও দেলোয়ারের খোঁজ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

একইসঙ্গে আনোয়ার হোসেন ওরফে হৃদয় ও দেলোয়ার হোসেনকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়নি, তা নিশ্চিতে তাদের আদালতে হাজির করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট

গত ১৪ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকের পর নিখোঁজ বগুড়ার বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন হৃদয় ও দেলোয়ার হোসেনের হদিস জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

আগামী ৪ জানুয়ারির মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে আনোয়ার হোসেন ওরফে হৃদয় ও দেলোয়ার হোসেনকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়নি, তা নিশ্চিতে তাদের আদালতে হাজির করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ৩ সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আজ বুধবার নিখোঁজ দুই নেতার সন্ধান জানতে পৃথক দুই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

 

হাইকোর্ট বলেন, নাগরিক নিখোঁজ হলে তাকে খুঁজে বের করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

হাইকোর্ট আরও বলেন, 'মানুষের জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। এক ঘণ্টাও মানুষের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সন্তান হারানোর ব্যথাটা কত কষ্টের তা পরিবারই জানে।'

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আনোয়ারের ভাগ্নে নুরুন্নবী ও দেলোয়ারের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন আইনজীবী কায়সার কামালের মাধ্যমে পৃথক দুটি রিট করেন।

তারা জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন ও দেলোয়ার হোসেনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক করলেও গতকাল পর্যন্ত তাদের কোনো আদালতে হাজির করা হয়নি।

তারা এ ব্যাপারে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

আনোয়ার হোসেন বগুড়ার কাহালু উপজেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক এবং দেলোয়ার হোসেন উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।

Comments