যুবদল নেতা আমিনুরকে ডান্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল

যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধুকে ডান্ডবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ফাইল ফটো সংগৃহীত

যশোরের অসুস্থ যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধুকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ডান্ডা-বেড়ি পরানোর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ পদক্ষেপ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

একই সঙ্গে আমিনুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১০ দিনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করতে সরকারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

আমিনুর রহমানের স্ত্রী নাহিদ সুলতানার দায়ের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আমিনুরকে হাসপাতালে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রোববার হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।

আবেদনে তিনি হাসপাতালে আমিনুরকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনাও চেয়েছিলেন।

কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত যুবদল নেতা আমিনুরকে এ মাসের শুরুতে ডান্ডা-বেড়ি পরা অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

যশোরের আহমেদাবাদ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আমিনুরকে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে গত ২ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়।

মেঝেতে বসা ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

গ্রেপ্তারের একদিন পর আদালত তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায় বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা।

২০১৩ সাল থেকে আমিনুর হৃদরোগে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে পরিবার। গত ১২ নভেম্বর কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে আমিনুরকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়।

অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন।

তার বড় ভাই মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত ১৩ নভেম্বর তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয় এবং রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে কোনো খালি বেড না থাকায় মধুকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, 'চিকিত্সা শেষ না করেই' গতকাল হাসপাতাল তাকে ছেড়ে দিয়েছে।

Madhu was treated on the floor as there was no empty bed at the hospital, he said, adding that the hospital released him yesterday "without completing his treatment".

Comments

The Daily Star  | English

Technical education hit by teacher shortage, falling enrolment

Bangladesh’s technical education sector is facing a slow-burning crisis, shaped by a severe shortage of teachers, poor infrastructure, and steadily declining student interest.

11h ago