কারা আগুন লাগাচ্ছে জানি, আইনের আওতায় নিয়ে আসব: ডিবি প্রধান

কারা আগুন লাগাচ্ছে জানি, আইনের আওতায় নিয়ে আসব: ডিবি প্রধান
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

সরকার পতনের একদফা দাবিতে চলমান বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর কর্মসূচির ভেতরে যানবাহনে অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বলেছেন, 'অনেকের নাম আমরা পেয়ে গেছি। তারা বাংলাদেশের যেখানেই থাকুক না কেন, আমরা অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসব।'

আজ রোববার দুপুরে তার নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

হারুন বলেন, 'আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, জনগণের জানমাল, সরকারি সম্পত্তিতে আগুন লাগাচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে—অনেকের নাম আমরা পেয়ে গেছি। তারা বাংলাদেশের যেখানেই থাকুক না কেন, আমরা অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

'আমি মনে করি, এটা গর্হীত কাজ। একটি মানুষের শেষ সম্বল একটি বাস। যাত্রী পরিবহন করে তার সংসার চলে। তার একমাত্র অবলম্বন যদি রাত ৩টার সময় তারা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলে, তার লাইফটাই তো শেষ হয়ে যাবে,' বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা জেনেছি, ২৮ তারিখের পর থেকে যারা হরতাল ডেকেছে, ২৮ তারিখ যারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে, আমাদের পুলিশ ভাইকে নৃশংসভাবে-নির্বিচারে হত্যা করেছে পিটিয়ে; অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের তারা মেরেছে এবং ওই দিন বাসে যারা আগুন লাগিয়েছে—তারাই তো পরদিন হরতাল ডেকেছে। হরতালের মধ্যেও আগুল লাগানোর ঘটনা ঘটছে। অবরোধ ডেকেছে, অবরোধের মধ্যে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটছে।'

হারুন আরও বলেন, 'এতদিন তো আগুন লাগেনি! অবরোধ ডাকার পরে এই আগুনগুলো কারা লাগাচ্ছে আমরা জানি। তাদের নাম আমরা পেয়েছি, ছবি পেয়েছি। আমরা অবশ্যই তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।'

Comments

The Daily Star  | English
consensus commission bicameral parliament proposal

Consensus commission: Talks stall over women’s seats, upper house

The National Consensus Commission proposed establishing an upper house comprising elected representatives from each district and city corporation, and suggested abolishing the current system of reserved seats for women in parliament.

5h ago