ভুয়া মামলা

৯ ডিবি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইজিপিকে আদালতের নির্দেশ

প্রতীকী ছবি

জাল নোট রাখার অভিযোগে দুই জনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোয় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) নয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) চিঠি দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর মেট্রোপলিটন স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাহসিন ইফতেখারের সই করা চিঠিতে আইজিপিকে ওই নয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে তিন মাসের মধ্যে তা আদালতকে জানাতে বলা হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ডিসিপ্লিন অ্যান্ড প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড উইং) বেলাল উদ্দিন আজ বৃহস্পতিবার দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন যে তারা চিঠিটি পেয়েছেন।

ডিবির ওই নয় কর্মকর্তা হলেন— পরিদর্শক তপন কুমার ঢালী, উপপরিদর্শক দেওয়ান উজ্জল হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক জিয়াউর রহমান, সোহেল মাহমুদ, আবুল বাশার, মমিনুল হক ও নাজমুল হক প্রধান এবং কনস্টেবল নয়ন কুমার ও গোলাম সরোয়ার।

গত ২৪ জানুয়ারি ঢাকার একটি হোটেলের ব্যবস্থাপক হাসান মজুমদার এবং একই হোটেলের শেফ সোহেল রানাকে জাল ব্যাংক নোট রাখার মামলা থেকে খালাস দেন আদালত। ছয় বছর ধরে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলা চালিয়ে হাসান ও সোহেল জয়ী হন।

আদালতের নথি অনুযায়ী, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাহসিন ইফতেখারের আদালত তাদের দুজনকে খালাস দেন।

২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর রাজধানীর পল্টনে হোটেল বন্ধুতে অভিযান চালিয়ে সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা হাসান ও সোহেলকে আটক করে। ঘটনাটি হোটেলের সিকিউরিটি ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয়েছে।

পরে তাদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন ডিবির একজন উপপরিদর্শক।

পুলিশের এফআইআরে এ ঘটনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ২৫ লাখ টাকার জাল নোট নিয়ে পালানোর সময় ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ফকিরাপুল এলাকা থেকে ডিবি দুজনকে গ্রেপ্তার করে।

২০১৭ সালে হোটেলে অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের একজন এবং এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক দেওয়ান উজ্জল হোসেন অভিযোগ গঠন করেন হাসান ও সোহেলের বিরুদ্ধে।

হাসানের অভিযোগ, অভিযানের সময় ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তিন লাখ টাকা দাবি করেন এবং এই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মিথ্যা এফআইআর লেখা হয়েছে।

এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী হাসান ও তার ভাই হোসেন মজুমদারও প্রতিকার চেয়ে পুলিশ সদর দপ্তর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওই নয় ডিবি সদস্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina’s final days before the fall

A desire to cling to power, intolerance for dissent and failure to see the writing on the wall were what eventually unravel Sheikh Hasina’s iron-fisted rule of 15 years.

5h ago