দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর বিচার শুরু

aslam_chowdhury.jpg
বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী। স্টার ফাইল ছবি

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সম্পদের বিবরণী জমা না দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীর বিচার শুরু হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন মামলার অভিযোগকারী ও দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

আসলামের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবী বিভিন্ন বিষয়ে সাক্ষীদের জেরা করেন।

এরপর বিচারক মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

একই আদালত গত ৮ জুন ওই মামলায় আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ ভাটিয়ারির বাসিন্দা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জমিলা নাজনীন মাওলার বিরুদ্ধে কয়েকশ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত করেছে দুদক।

২০১৯ সালের ১৩ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক ঋত্বিক সাহা চট্টগ্রাম কারাগার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একটি নোটিশ জারি করে কারাবন্দি আসলাম চৌধুরীকে ৭ দিনের মধ্যে তার সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলে। ওই বছরের ২৩ জুন আসলাম চৌধুরীকে নোটিশ দেয় চট্টগ্রাম কারাগার কর্তৃপক্ষ।

ওই বছরের ১ জুলাই আসলাম চৌধুরী সম্পদের হিসাব দুদকে জমা দিতে ৩ মাস সময় চেয়েছিলেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য মোট ৩৬ দিন সময় দেয়।

আসলাম চৌধুরী ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট আবার এই বিষয়ে আরও ৩ মাস সময় চেয়ে আরেকটি আবেদন জমা দেন।

তবে ওই বছরের ১৫ অক্টোবর দুদক কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আসলাম চৌধুরীকে জানায়, আর কোনো সময় বাড়ানো হবে না এবং বেশ কয়েকবার সময় বাড়ানোর আবেদন করা সত্ত্বেও তিনি নির্ধারিত সময়ে নথি জমা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh RMG sector

RMG sector on edge as tariff talks make no headway

The diverging outcomes threaten to create a multi-tiered tariff landscape in Asia, placing nations like Bangladesh at a serious disadvantage in the US market.

12h ago