তারেক-জোবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ২ আগস্ট

তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান। ছবি: সংগৃহীত
তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।

যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

সমাপনী যুক্তিতর্কের সময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, তারা সন্দেহাতীতভাবে তারেক-জোবাইদার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই তাদের অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া উচিত।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও এর তথ্য গোপন করার জন্য আইনে যথাক্রমে সর্বোচ্চ ১০ বছর ও ৩ বছরের সাজার বিধান আছে।

এর আগে আদালত মামলার অভিযোগকারীসহ বাদীপক্ষের ৪২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে তারেক ও জোবাইদাকে পলাতক দেখানো হয়েছে। এই দম্পতি ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে আছেন।

গত ১৩ এপ্রিল একই আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর আগে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের অনুমতি চেয়ে এক আইনজীবীর আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। গত বছরের ১ নভেম্বর এই আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

তারেক আরও ১৫টি মামলার আসামি, যার বেশির ভাগই ২০০৭ ও ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের করা। তবে জোবাইদাকে শুধুমাত্র এই একটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

গত বছরের ২৬ জুন, হাইকোর্ট তারেক ও জোবাইদাকে 'পলাতক' ঘোষণা করে এবং দুর্নীতির মামলা দায়েরকে চ্যালেঞ্জ করে তাদের রিট আবেদন খারিজ করে দেন। সেই সঙ্গে মামলার স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করে নেন হাইকোর্ট।

অবৈধ উপায়ে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন এবং সম্পদ বিবরণীতে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকার তথ্য গোপন করার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় তারেক, জোবাইদা ও জোবাইদার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। তদন্ত কর্মকর্তা ২০০৯ সালের ৩১ মার্চ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দায়ের করেন।

তবে জোবাইদার মায়ের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম বাতিল করা হয়।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাসহ আরও দুটি মামলায় তার সাজা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

BNP's name being misused for personal gains: Rizvi

He urges party men to remain vigilant against committing misdeeds

1h ago