মাদক চোরাকারবারের অভিযোগে নারীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, মেয়ের মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর পল্লবীর এক বাসায় অভিযান চালিয়ে মাদক চোরাকারবারের অভিযোগে এক নারীকে ধরে নিয়ে যেতে চায় পুলিশ। এতে বাধা দেয় ওই নারীর কিশোরী মেয়ে। এরপরেও পুলিশ ওই নারীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং এক পর্যায়ে বাসার ভেতর থেকে ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।
লাভলী বেগম নামের ওই নারীর ভাষ্য, 'সোমবার সন্ধ্যায় পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহির তার কয়েকজন সোর্স ও এক নারী কনস্টেবলসহ আমাদের বাসায় মাদক আছে বলে অভিযান চালায়। কিন্তু তারা কোনো মাদক পায়নি। এক পর্যায়ে তারা আমার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। সেই টাকা দিতে রাজি না হলে তারা আমাকে ধরে নিয়ে যেতে চায়। তখন আমার মেয়ে বৈশাখী আক্তার (১৬) এসে বাধা দেয়। কিন্তু এরপরেও তারা আমাকে নিয়ে যেতে চায়। তখন আমাকে তারা পাশের বাসায় আটকে রাখে। কিছুক্ষণ পর শুনতে পাই যে, তারা বলছে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে আমাদের বাসার নিচতলার রুমে গিয়ে দেখতে পাই আমার মেয়ের মরদেহ ঝুলছে।'
এই ঘটনার পর ওই এলাকার স্থানীয়রা প্রায় ১০টি গাড়ি-মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে বলে ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন দ্য ডেইলি স্টারের নিজস্ব প্রতিবেদক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, স্থানীয়রা পল্লবী থানার সামনেই এই যানবাহনগুলো ভাঙচুর করেন। তাদের সঙ্গে পুলিশের মারামারিও হয়। স্থানীয়রা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে এবং পুলিশও লাঠিচার্জ করে। পরে পুলিশ ওই কিশোরীর মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে পুলিশের উপকমিশনার (মিরপুর বিভাগ) জসিম উদ্দীন মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।'
Comments