পুলিশের হুঁশিয়ারির পরও গরুর ট্রাকে চাঁদাবাজির অভিযোগ
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা সত্ত্বেও ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
এসব অভিযোগের মধ্যে আছে-পশুর ট্রাকে চাঁদাবাজি, গবাদিপশু জোর করে হাটে নিয়ে যাওয়া, জাল টাকা ছাড়া ইত্যাদি।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ গত ২০-২৬ জুনের মধ্যে এ সংক্রান্ত অন্তত ২৮২টি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে প্রায় ১০০টি কল ছিল গরুর হাট, নদী ও সড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগ।
১১১টি কল ছিল জোর করে হাটে পশু নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ, ১১টি কল ছিল মাদক সংক্রান্ত এবং ৪টি জাল নোট সংক্রান্ত।
এ বিষয়ে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরের দায়িত্বে থাকা পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জনসাধারণের নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে এসব ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।'
কোনো অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানান তিনি।
এর আগে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক ঈদে পশুর ট্রাকে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
গতকাল মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনকালে ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুক জানান, ঈদকে সামনে রেখে গত ১ মাস ধরে চুরি ও মাদক চক্রের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমরা এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত ৬০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। এছাড়া, জাল নোটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে'
ডিএমপি কমিশনার আরও জানান, ২১টি গরুর হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার ও জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দুর্ঘটনা রোধে ঢাকার ফাঁকা রাস্তায় মোটরসাইকেল বা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে রেসিং না করতে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।
যে কোনো প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সব অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
Comments