পিস্তল ও হেরোইনসহ গ্রেপ্তার ‘চনপাড়ার সন্ত্রাসী’ রায়হান

নয় মামলার আসামি রায়হান পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মাদক ও সন্ত্রাসের জন্য কুখ্যাত চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে হত্যা, মাদকসহ একাধিক মামলার আসামি মো. রায়হানকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

আজ রোববার বিকেলে নিজের কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ম্যাগাজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল ও ৩০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয় বলে জানান এসপি।

গ্রেপ্তার রায়হান চনপাড়ার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাজা মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় অন্তত ৯টি মামলা আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত শুক্রবার দুপুরে আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজনের সঙ্গে রায়হান বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। রায়হান বাহিনীর হাতে প্রতিপক্ষ মাদক ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীনের দুজন গুলিবিদ্ধ হন।

সংবাদ সম্মেলনে এসপি বলেন, শুক্রবার রায়হান ও জয়নাল গ্রুপের মারামারিতে রায়হান তার বাহিনী নিয়ে নিজে উপস্থিত ছিলেন। তিনি একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় অনেক মামলা আছে। আগেও একাধিক মামলায় রায়হান গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

গ্রেপ্তার রায়হানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান এসপি।

গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, আমরা চনপাড়াকে শান্ত রাখার চেষ্টা করি। চনপাড়ায় অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি, মারামারি না হয় সেজন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আগের তুলনায় চনপাড়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। গত ১২ জুন চনপাড়ায় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। চনপাড়ায় কয়েকজন লোকের কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটে।

এদিকে, চনপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একসময় চনপাড়া নিয়ন্ত্রণ করতেন কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য বজলুর রহমান। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগেরও সদস্য ছিলেন। হত্যা, মাদক, ডাকাতিসহ অন্তত ২৬ মামলার আসামি বজলুর রহমান বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর পর আলোচনায় এলে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন।

গত ৩১ মার্চ কারা তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বজলুরের মৃত্যুর পর চনপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি গ্রুপ সক্রিয় বলে স্থানীয়রা জানান। এর মধ্যে গত ১২ জুন উপনির্বাচনে বিজয়ী ইউপি সদস্য সমসের আলী, পরাজিত প্রার্থী জয়নাল আবেদীন, সমসেরের সহযোগী শাহাবউদ্দিন, মো. রায়হান, ইয়াসমিন, রাজাসহ আরও কয়েকজন গ্রুপগুলোর নেতৃত্ব দেন।

Comments

The Daily Star  | English
 Al Bakhera killings Al Bakhera killings

Killings in Chandpur: Water transport workers go on strike

Water transport workers has started an indefinite strike from midnight

4h ago