নাটোরে এমপি বকুলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শহিদুল ইসলাম বকুলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের করা হত্যা মামলা আমলে নিয়ে বিশেষ পুলিশ সুপারকে (পিবিআই) তদন্তের আদেশ দিয়েছে আদালত।
এর গত ১ জুন নাটোরে বাগাতিপাড়া আমলী আদালতে এজাহার দাখিল করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ মামলটি গ্রহণ করে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১৫ জুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
বাগাতিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে অপমৃত্যু (ইউডি) মামলার প্রতিবেদন, পোস্টমর্টেম, সুরতহাল এবং ভিসেরা রিপোর্ট আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন।
আজ বৃহস্পতিবার আদালত শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন নাটোরের বিশেষ পুলিশ সুপারকে তদন্তের আদেশ দেন।
অভিযোগপত্রে শাহনাজ পারভীন উল্লেখ করেন, ২০২০ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি লালপুর বাগাতিপাড়া আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের বাড়িতে পাওনা টাকা সংক্রান্ত সালিশ হওয়ার কথা ছিল। শাহনাজ পারভীন, তার স্বামী এবং আরও কয়েকজন সেখানে গেলে এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল উত্তেজিত হয়ে শাহনাজের স্বামী আইয়ুব আলীর কাছে টাকা দাবি করে। টাকা ফেরত না দিলে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের হুমকি দেয়। আইয়ুব আলী সই করতে অস্বীকার করলে এমপি বকুল তাকে চড় থাপ্পড় মারে। এরপর আইয়ুব আলী ভীত সন্তস্ত্র হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে সেখান থেকে তাকে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ মখদুম রুপশ বলেন, 'মামলাটি আদালত আমলে গ্রহণ করে আগামী ২৭ জুলাই পরবর্তী ধার্য তারিখ নির্ধারণ করেছে।'
গত ১ জুন মামলাটি আদালতে দাখিলের সময় বাদী পক্ষের আনিজীবী হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট মমতাজ রায়হান সিনা। পরে তিনি এই মামলার আইনজীবী হিসেবে তার নাম প্রত্যাহার করেছেন।
অ্যাডভোকেট মমতাজ রায়হান সিনা বলেন, 'তাকে বিস্তারিত না জানিয়ে সহকর্মী শাহ মখদুম রুপশ স্বাক্ষর নিয়েছিলেন। পরে বিস্তারিত জেনে তিনি নাম প্রত্যাহার করেছেন।'
Comments