বিএনপি নেতা আমানের ১৩ বছর ও টুকুর ৯ বছরের সাজা হাইকোর্টে বহাল

এর আগে আমান ও সাবেরাকে যথাক্রমে ১৩ বছর ও ৩ বছর এবং অন্য একটি মামলায় টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত।
আমান উল্লাহ আমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। ছবি: সংগৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা দুর্নীতির ২ মামলায় বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং আমানের স্ত্রী সাবেরা আমানের আপিল খারিজ করে বিচারিক আদালতের সাজার রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

এর আগে একটি মামলায় আমান ও সাবেরাকে যথাক্রমে ১৩ বছর ও ৩ বছর এবং অন্য একটি মামলায় টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আমান, টুকু ও সাবেরার আপিল খারিজ করে এ আদেশ দেন।

আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী

২০০৭ সালের ২১ জুন অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের বিবরণীতে তথ্য গোপনের দায়ে আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।

অপরাধে প্ররোচনা দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় একই আদালত তার স্ত্রী সাবেরাকেও ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন।

ওই দম্পতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের দুর্নীতির অভিযোগ থেকে খালাস দেন।

২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে তাদের আপিলের ওপর নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২১ মার্চ মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করে দুদক।

এ মামলায় ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।

আপিল আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ১৬ জুন দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বিএনপি নেতাকে বেকসুর খালাস দেন হাইকোর্ট।

২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বাতিল করে তার আপিলের ওপর নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেয়।

Comments