বন্ধুকে অপহরণ করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি-হত্যা, গ্রেপ্তার ২
সাভারের আশুলিয়ায় সহযোগীদের নিয়ে বন্ধুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসেবে চাওয়া ৫০ লাখ টাকা না পেয়ে হত্যা করেছে আরেক বন্ধু।
এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই কলেজশিক্ষার্থীর হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
অপহরণের ১০ দিন পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়ার একটি ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৪ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুর রহমান গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নিহত ফারাবি আহমেদ হৃদয় (২২) আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার বাসিন্দা এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইসএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ৮ মে বিকেলে তিনি অপহৃত হন বলে র্যাব জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার ময়েজ হোসেন ওরফে পরান (২২) ও মো. সুমন মিয়া ওরফে বাপ্পি (২৩) নিহত হৃদয়ের প্রতিবেশী ও বন্ধু বলে জানা গেছে।
র্যাব জানায়, ঘটনার মূলহোতা পরান ও নিহত হৃদয় একই এলাকার বাসিন্দা এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। পরান ও তার সহযোগী মো. সুমন মিয়া বাপ্পি এবং আরও দুই পলাতক আসামি আকাশ ও শাহীন হৃদয়কে অপহরণ করে তার পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৮ মে বিকেলে পরান ও তার সহযোগীরা হৃদয়কে আকাশের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বেঁধে তার মোবাইল ফোন থেকে তার বাবাকে ফোন করে মুক্তিপণ বাবদ ৫০ লাখ টাকা দাবি করে।
পরে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে আসামিরা হৃদয়কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ও মুখে বালিশচাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে বলে জানিয়েছে র্যাব। হত্যার পর হৃদয়ের মরদেহ বস্তাবন্দি করে মোজারমিল এলাকার একটি পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দেয় তারা।
এ ঘটনায় ১১ মে হৃদয়ের বাবা ফজলুল হক মিয়া আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর র্যাবের কাছেও লিখিত অভিযোগ দেন।
গতকাল ঘটনার মূলহোতা পরান ও তার সহযোগী বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব-৪ এর সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান,
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ২ জন অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া, ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি ২ পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
Comments