দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ

aslam_chowdhury.jpg
বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী। স্টার ফাইল ছবি

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সম্পদের বিবরণী  জমা না দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় তাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ বিষয়ে তার আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ আবেদন করলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

এ ছাড়া মামলায় শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন বিচারক।

এর আগে গত ২৮ মার্চ ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান আসলাম চৌধুরীর অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলমসহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ ভাটিয়ারির বাসিন্দা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জমিলা নাজনীন মাওলার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বাইরে কয়েক শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক।

২০১৯ সালের ১৩ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক ঋত্বিক সাহা চট্টগ্রাম কারাগার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একটি নোটিশ জারি করে কারাবন্দি আসলাম চৌধুরীকে ৭ দিনের মধ্যে তার সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলে। এরপর ওই বছরের ২৩ জুন আসলাম চৌধুরীকে নোটিশ দেয় চট্টগ্রাম কারাগার কর্তৃপক্ষ।

ওই বছরের ১ জুলাই আসলাম চৌধুরী সম্পদের হিসাব দুদকে জমা দিতে ৩ মাস সময় চেয়েছিলেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য মোট ৩৬ দিন সময় দেয়। 

আসলাম চৌধুরী ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট আবার এই বিষয়ে আরও ৩ মাস সময় চেয়ে আরেকটি আবেদন জমা দেন।

তবে ওই বছরের ১৫ অক্টোবর দুদক কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আসলাম চৌধুরীকে জানায়, আর কোনো সময় বাড়ানো হবে না এবং বেশ কয়েকবার সময় বাড়ানোর আবেদন করা সত্ত্বেও তিনি নির্ধারিত সময়ে নথি জমা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Govt publishes gazette of 1,558 injured July fighters

Of them, 210 have been enlisted in the critically injured "B" category, while the rest fall under the "C" category of injured fighters

5h ago