উখিয়া ক্যাম্পে গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা নেতার মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মিরপুরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

কক্সবাজারের জেলার উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ সলিম (২৮) মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

চমেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলাউদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'বৃহস্পতিবার ভোরে গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ সলিমকে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এসময় হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।'

এর আগে, গতকাল রাতে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় ক্যাম্পের সি-২ ব্লকে মোহাম্মদ সলিম 'স্বেচ্ছায় পাহারায়' নিয়োজিত কর্মীদের মাঠ পর্যায়ে কাজের তদারকি করছিলেন। এসময় ১০ থেকে ১৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালায়। হামলায় মোহাম্মদ সলিমকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। স্থানীয়রা রোহিঙ্গারা গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ সলিমকে প্রথমে কুতুপালং সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতাল এবং পরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠান।

বুধবার রাতে এপিবিএন পুলিশ জানিয়েছিল, প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা- রোহিঙ্গা আশ্রয় ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা তদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, 'চমেক হাসপাতাল সূত্রে গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ সলিমের মৃত্যুর খবর জেনেছি। নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে উখিয়া থানার মাধ্যমে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নিহত মোহাম্মদ সলিম উখিয়ার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের বাসিন্দা রফিক উদ্দিনের ছেলে। তিনি ক্যাম্পটির সি-ব্লকের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সাব-মাঝি (সহকারী কমিউনিটি নেতা) ছিলেন।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

8h ago