‘সরকারের কোনো সংস্থা ইসির কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না’

দেশটাকে তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন
স্টার ফাইল ফটো

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ একটি রায়ের পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, সংবিধানের অধীনে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন হওয়ায় নির্বাহী বিভাগসহ সরকারি সংস্থার কেউ সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

'সংবিধানের উল্লেখিত বিধানগুলোর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশন তার ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে স্বাধীন; তবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধীনে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা এবং চাকরির শর্তাবলি অন্তর্ভুক্ত নয়।'

গতকাল প্রকাশিত রায়ের পূর্ণাঙ্গ পাঠে ২৯ নম্বর পৃষ্ঠায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, '১১৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। নিঃসন্দেহে, নির্বাহী বিভাগসহ সরকারের কোনো অংশই নির্বাচন কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।'

এর আগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সরকারের করা পৃথক ৪টি আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত রায় দেন। 

বেঞ্চের অন্য ৫ সদস্য হলেন বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহানউদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত)।

রায়ে শীর্ষ আদালত ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল দেওয়া ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করে। যেখানে ইসিকে ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল; যাদের তৎকালীন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে নিয়োগ দেওয়া হয়।

রাজনৈতিক বিবেচনায় তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল এবং তারা তাদের যোগ্যতা প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় সামরিক-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাদের বরখাস্ত করা হয়।

রায়ের পূর্ণাঙ্গ পাঠে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, 'বিবাদীরা (বরখাস্ত হওয়া ৮৫ উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা) এমন কোনো তথ্য হাজির করতে পারেনি যার মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারে যে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অসদাচরণের অভিযোগ ছিল না এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়েছিল।'

'এ ছাড়া তাদের প্রবেশন সময়কালে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল' বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh’s population hits 175.7 million, majority of working age

Bangladesh's population has reached 175.7 million, two thirds of which, around 115 million, are of working age, between 15 to 64..The estimation was made by the United Nations Population Fund's (UNFPA) annual flagship publication, the State of World Population (SWOP) 2025..UNFPA Repr

50m ago