বিচার শুরুর আগেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের খবর

লেসেদি মোলাপিসি। ছবি: সংগৃহীত

বতসোয়ানার ৩০ বছর বয়সী নারী লেসেদি মোলাপিসির বিরুদ্ধে ১০ মাস আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলার বিচার ঢাকার আদালতে এখনো শুরুই হয়নি।

তবে আফ্রিকার কিছু গণমাধ্যমে লেসেদি মোলাপিসির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের খবর এসেছে। আবার কিছু গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবরে বলা হয়, তিনি এখন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় আছেন।

সম্প্রতি জিম্বাবুয়ে মেইলের খবরে বলা হয়, লেসেদি মোলাপিসির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা ছিল গত ২৫ নভেম্বর। আরেকটি গণমাধ্যম আইওএল জিম্বাবুয়ে মেইলের উদ্ধৃতি দিয়ে একই তথ্য প্রকাশ করে।

তবে কোন সূত্র থেকে গণমাধ্যমগুলো এই ভুল তথ্য পেয়েছিল তা নিশ্চিত করা যায়নি।

লেসেদি মোলাপিসির আইনজীবী চমন আফরোজা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তার (লেসেদি মোলাপিসির) বিরুদ্ধে দায়ের করা মাদক মামলার বিচার এখনও শুরু হয়নি। আমার মক্কেলকে এই মামলায় গত ১৪ নভেম্বর আদালতে হাজির করা হয়েছিল।'

এই আইনজীবীর দাবি, 'লেসেদি মোলাপিসির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বা তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা।' তিনি আরও বলেন, 'মামলার তদন্তের পর পুলিশ গত আগস্টে লেসেদি মোলাপিসি এবং অপর একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।'

গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ২০ কোটি টাকা মূল্যের ৩ কেজি ১৪৫ গ্রাম হেরোইনসহ লেসেদি মোলাপিসিকে আটক করা হয়। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দোহা হয়ে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকা এসেছিলেন।

ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্সের (এনএসআই) সহযোগিতায় কাস্টমস কর্মকর্তারা সেদিন লেসেদিকে চ্যালেঞ্জ করেন। তার লাগেজ স্ক্যান করে কাস্টমস কর্মকর্তারা হেরোইনের এই চালানটি জব্দ করেন।

পরদিন ঢাকার কাস্টমস হাউসের সহকারী কাস্টমস কর্মকর্তা ফিরোজ আলম বাদী হয়ে লেসেদি মোলাপিসির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।

গত ১৭ আগস্ট একই থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে লেসেদি মোলাপিসি ও মহিবুল ইসলাম মাসুদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এবং উল্লেখ করেন যে, তারা আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য।

মামলার তদন্তকালে গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকার উত্তরা পশ্চিম এলাকায় অবস্থিত মেহরাব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মাসুদ লেসেদি মোলাপিসিকে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেও তিনি তার ব্যবসার বিষয়ে উপযুক্ত কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, লেসেডি মোলাপিসি বাংলাদেশে আসার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ শহরে তার বন্ধু ইভান্স চুকাকার কাছ থেকে ৩টি নারীদের ব্যাগ নিয়েছিলেন। সেই ব্যাগের মধ্যেই হেরোইন লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।'

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে ইভান্স চুকাকার জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই অভিযোগপত্রে তার নাম রাখা হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

8h ago