নারায়ণগঞ্জে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের বন্দর ও রূপগঞ্জ উপজেলায় ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, পৃথক ঘটনায় তাদের হত্যা করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের জহুরপুর গ্রামের আয়েশা আক্তার (৫০), একই উপজেলার মাসুম হাওলাদার (৩৬) এবং ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌর নগর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে রাশেদ মিয়া (২৫)।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সোমবার ভোরে বন্দর উপজেলার জহুরপুর এলাকার নিজ বাসা থেকে আয়েশা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের ছেলে পলাতক আছেন।'
নিহত আয়েশা বেগমের প্রতিবেশী দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'রাত আড়াইটার দিকে আয়েশা বেগমের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পাই। মা-ছেলের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে ভেবে বিষয়টি এড়িয়ে যাই। কিছুক্ষণ পরে আয়েশার আর্তনাদে ঘর থেকে বের হই। দরজা ধাক্কাধাক্কি করা হলে ছেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। ভেতরে ঢুকে আয়েশার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাই। পরে পুলিশে খবর দেই।'
ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, 'নিহতের স্বামীর সঙ্গে কয়েকবছর আগেই বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। ছেলেকে নিয়েই থাককেন। স্থানীয়রা জানিয়েছে, ছেলে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। ঘটনার পর থেকেই ছেলে পলাতক। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।'
সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কুশিয়ারা চন্ডিতলায় খাল থেকে ভ্যানচালক মাসুম হাওলাদারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। নিখোঁজের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিরিন আক্তার গত ৬ নভেম্বর রাতে একটি সাধারণ ডায়েরিও করেন।
ওসি বলেন, 'নিহত মাসুমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। তিনি দুর্বৃত্তের হাতে খুন হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।'
রোববার মধ্যরাতে রূপগঞ্জ উপজেলার আধুরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছুরিকাহত হন রাশেদ মিয়া। আহত অবস্থায় রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশেদ মারা যান বলে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান।
এই ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার ('গ' সার্কেল) আবির হোসেন।
তিনি বলেন, 'আধুরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জ্বালানি তেলের দোকানে কাজ করতো রাশেদ। তেল বিক্রির টাকা নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল তার। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।'
Comments