বিচারপতি মানিকের ওপর হামলা: জামিন পাননি বিএনপির ১১ নেতাকর্মী
গত ২ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১১ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
আজ রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহীদুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে, পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ফরমান আলী এই মামলায় ২ দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করেন।
আসামিরা হলেন- সবুজবাগের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া (৪৪), একই ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হারুন-ইওর-রশিদ (৫৪), পল্টন থানা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মো. আবু তাহের (৩৮), একই থানার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জামাল হোসেন (৪১), মতিঝিল ৯ নং ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম (২০), বিএনপি কর্মী মতিউর রহমান নীরব (২৮) ও শামীম রহমান (৫২), ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সুমিত (৩৩), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন খান (৩৭) এবং কলাবাগান থানা ইউনিট ছাত্রদলের নেতা মো. রবিন হোসেন (৩৫) ও মো. সাগর (৩৩)।
তদন্ত কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে বলেন, সব নেতা হামলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন যা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এছাড়া, তারা সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির ওপর হামলার বিষয়ে অপরাধ স্বীকার করেছে। সুতরাং, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে রাখা দরকার।
তবে, আসামিপক্ষের আইনজীবী পৃথক জামিন আবেদন জমা দিয়ে বলেছে, তাদের মক্কেলদের হয়রানি করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট বাদীপক্ষের আবেদন নাকচ করে আসামিদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠান।
বিচারপতি মানিক অভিযোগ করেন, গত ২ নভেম্বর মিছিল থেকে বিএনপি-জামায়াতের প্রায় ৩০ জন নেতাকর্মী তার গাড়ি ঘিরে ফেলে এবং তাকে ঘুষি ও চড়-থাপ্পড় মারে।
হামলাকারীরা তার গাড়িতেও ভাঙচুর চালায় এবং তার দেহরক্ষী ও চালককে লাঞ্ছিত করেছে বলেও জানান বিচারপতি মানিক।
সেদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মতিঝিল থেকে কারওয়ান বাজারে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
Comments