পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে কমিশন গঠন: হাইকোর্ট
পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্পে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে এবং এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে সরকারকে কমিশন গঠনে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ বিষয়ে স্বতপ্রণোদিত (সুওমুটো) রুল শুনানিকালে এ আদেশ দেন।
গত ২৮ জুন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চ পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প যারা তৈরি করেছে তাদের শনাক্তে সরকারকে ৩০ দিনের মধ্যে একটি কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আদেশ পাওয়ার পর সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দুই মাসের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প তৈরি করে এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের বিষয়ে পাঁচ বছরের পুরনো সুওমুটোর যুক্তি শুনানির পর বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
আজ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক হাইকোর্ট বেঞ্চের ২৮ জুনের আদেশ পালনে সময় চান।
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে 'যারা মিথ্যা গল্প তৈরি করেছে' তাদের চিহ্নিত করতে কেন তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা করতে সরকারকে রুল জারি করে। যারা এর পেছনে তাদের কেন বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়।
দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তিন আসামিকে খালাস দেওয়ার জন্য কানাডার একটি আদালতের সিদ্ধান্তের বরাত দিয়ে মিডিয়া রিপোর্টের পর বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেছিলেন।
আজ রুলের শুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুন নুর দুলাল এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
Comments