খুলনায় গৃহবধূর শরীরে এসিড নি‌ক্ষেপ, ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা

Khulna Map
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের এক গৃহবধূর শরীরে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগে ৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় কয়রা থানায় মামলাটি করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএমএস দোহা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ওসি বলেন, 'ওই নারী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখান থেকে থানায় অভিযোগ পাঠিয়েছেন। ওই অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।'

কয়রার ম‌হেশ্বরীপুর ইউনিয়নের গিলাবা‌ড়ি কু‌চির মোড় এলাকায় নিজ বাড়িতে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টার দি‌কে এসিড নি‌ক্ষে‌পের ঘটনা ঘ‌টে‌।

এসিডে গৃহবধূর বাম হাত, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে। ওই রাতেই তাকে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গৃহবধূকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আহত শামীমা নাসরিন (৩৮) গিলাবা‌ড়ি কু‌চির মোড় এলাকার আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী।

শামীমার বড় ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আবু জাফর সিদ্দিকী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাত ৩টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তরা এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যান। মায়ের চিৎকারে আমার ছোট ভাই আবুল আহাদ অন্য রুম থেকে এসে মাকে প্রাথমিক চিকিৎসাসহ অন্যান্যদের ফোন করে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন।'

আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, 'মাকে আমাদের বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় ভোর রাতেই। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এখন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘটনার সময় আমার বাবা বাড়িতে ছিলেন না।'

'এর আগে গত ১১ জুলাই সকালে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আমাদের প্রতিবেশী খালেক গাজি, আনিচ গাজিসহ কয়েকজন মিলে মাকে বাড়ি থেকে টেনে হিচড়ে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল,' তিনি যোগ করেন।

কয়রা থানার ওসি এবিএমএস দোহা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খবর পেয়ে ওই নারীকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি। খুব বড় কিছু মনে হয়নি। হাসপাতালের ডাক্তার বলেছেন, এসিড কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়েছে।'

'২ দিন আগে নিরাপত্তা চেয়ে ওই নারীর বাবা গফফার গাজী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিল,' ওসি যোগ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina’s final days before the fall

A desire to cling to power, intolerance for dissent and failure to see the writing on the wall were what eventually unravel Sheikh Hasina’s iron-fisted rule of 15 years.

7h ago