কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ৮ দিনেও মামলা নেয়নি থানা

Lalmonirhat_DS_Map.jpg
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

লালমনিরহাটে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে দশম শ্রেণির স্কুলশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও থানা মামলা রেকর্ড করছে না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

অভিযুক্ত কনস্টেবল বিপুল চন্দ্র রায় (৩৫) গাইবান্ধা জেলা পুলিশ লাইন্সে কর্মরত আছেন। তার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নে।

ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার জানায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর কিশোরীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত বিপুল চন্দ্র। স্থানীয় লোকজন ওই পুলিশ সদস্যকে হাতেনাতে আটক করলেও একটি পক্ষ তাকে ছেড়ে দেয়। পরদিন ১১ সেপ্টেম্বর কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই দিনই স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু রোববার দুপুর পযর্ন্ত মামলাটি রেকর্ড করে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগীর পরিবার ডেইলি স্টারকে জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও রহস্যজনক কারণে থানার ওসি কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। উল্টো পুলিশ হুমকি দিচ্ছে বিষযটি মীমাংসা করানোর জন্য। আমরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছি।

হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল মেয়েটিকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগ নিয়ে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, মেয়েটির বাবা ধর্ষণের যে অভিযোগ করেছিলেন তা সঠিক ছিল না। পুলিশ সদস্য বিপুল চন্দ্র স্কুলশিক্ষার্থীর কক্ষে প্রবেশ করেছিলেন এবং মেয়েটির সাথে জোরদবস্তি করেছিলেন এমন তথ্যই পুলিশ পেয়েছে।

'মেয়েটির বাবার কাছ থেকে সঠিক অভিযোগ নেওয়ার জন্য পুলিশ যোগাযোগ করলেও তিনি আমাদের কাছে আসছেন না। তিনি এখানে এলেই তার অভিযোগের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে,' তিনি বলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Manu Mia, who dug thousands of graves without pay, passes away

He had been digging graves for 50 years and never accepted any payment for his service

1h ago