পাসপোর্ট করতে গিয়ে কিশোরীসহ ২ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

মানিকগঞ্জ পাসপোর্ট আঞ্চলিক কার্যালয়ে ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি করে পাসপোর্ট করতে যাওয়া এক রোহিঙ্গা কিশোরী ও তার সহযোগী আরেক রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ রবিবার দুপুরে পাসপোর্টের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে গিয়ে তারা ধরা পড়েন বলে জানিয়েছেন মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাহিদ নেওয়াজ।

নাহিদ নেওয়াজ জানান, আজ দুপুরে পাসপোর্টের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার পর দেখা যায়, পাসপোর্ট আবেদনকারী কিশোরী একজন রোহিঙ্গা। সে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।

জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী জানায়, নিজের আসল নাম-ঠিকানা আড়াল করে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের চর চান্দহর গ্রামের খলিলুর রহমান ও রাশিদা খাতুনের মেয়ে তাসনিম বেগম নামে ইউনিয়ন পরিষদের সনদ তৈরি করেছিল সে। জন্মসনদপত্র তৈরি করেছিল সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতানি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে।

তার সঙ্গে আসা রোহিঙ্গার নাম আবু তাহের। তিনি ২০০৮ সালে বাংলাদেশে এসেছেন এবং এখন কক্সবাজারের চকরিয়ার বাসিন্দা। রোহিঙ্গা কিশোরীকে পাসপোর্ট তৈরির কাজে সহায়তার কারণে তাকেও আটক করা হয় পাসপোর্ট অফিসে। পরে তাদের ২ জনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আবু তাহের বলেন, 'আটক কিশোরী সম্পর্কে আমার চাচী। ২ বছর আগে টেলিফোনে সৌদিপ্রবাসী রোহিঙ্গা মোহাম্মদ আবু তালেবের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। স্বামীর কাছে যাওয়ার জন্য সে পাসপোর্ট করতে এসেছিল। সাদ নামের পাসপোর্ট অফিসের এক দালালের মাধ্যমে আবেদন করা হয়েছিল। ১ লাখ টাকার চুক্তি হয়েছে। ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। ৪০ হাজার পরে দেওয়ার কথা।'

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, 'পাসপোর্ট আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাহিদ নেওয়াজ ২ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। পাসপোর্ট অফিস থেকে মামলা হওয়ার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'

চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল বলেন, 'আমার সই স্ক্যান করে বসিয়ে ভুয়া নাম, পরিচয়, ঠিকানা ব্যবহার করে সনদ তৈরি করেছে তারা। আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করব।'

Comments

The Daily Star  | English

Jatrabari turns into battlefield as students clash

Students of three colleges clashed at Dhaka's Jatrabari today, turning the area into a battlefield

1h ago