মাদক দিয়ে ফাঁসানো: বরখাস্ত এএসআইসহ ৩ জনের জামিন আবেদন নাকচ

নৌকার এজেন্টের ৬ মাসের কারাদণ্ড
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

মাদক মামলায় এক ব্যক্তিকে ফাঁসানোর অভিযোগে হওয়া মামলায় পল্লবী থানার বরখাস্তকৃত সহকারী উপপরিদর্শক ও তার দুই তথ্যদাতার জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আসামিরা হলেন এএসআই মাহবুবুল আলম ও তার সোর্স মোহাম্মদ রুবেল ও সোহেল রানা।

ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই মো. আনোয়ার হোসেন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করলে মহানগর দায়রা জজ মো. আতাউল্লাহ এই আদেশ দেন।

ফরোয়ার্ডিং রিপোর্টে, তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, অভিযুক্তরা ঘটনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন এবং কেন এবং কী কারণে তারা একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে জড়িয়েছেন তার কয়েকটি উত্তর তারা এড়িয়ে গেছেন। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে রাখা প্রয়োজন।

তবে আসামিপক্ষ মামলায় জামিন চেয়ে পৃথক দুটি আবেদন জমা দেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট আসামিপক্ষের আবেদন নাকচ করে কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ৭ সেপ্টেম্বর এক ব্যক্তিকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে খলিলুর রহমান (৩৫)কে কীভাবে মাদকের মামলায় মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচারের পর ওই দিনই পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক খালিদ হাসান তন্ময় বাদী হয়ে তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে এসআই খালিদ বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এএসআই মাহবুবুল ও তার গোয়েন্দারা খলিলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।

এরই মধ্যে এএসআইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

খলিলকে ফাঁসানোর ঘটনাটি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয় এবং প্রতিবেদনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।

ফুটেজে দেখা যায়, এএসআই মাহবুবুল ৬ সেপ্টেম্বর ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় খলিলকে থামিয়ে তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন।

একপর্যায়ে মাহবুবুল তথ্যদাতা রুবেলের কাছ থেকে এক প্যাকেট ইয়াবা নিয়ে খলিলের পকেটে রাখেন। এরপর তিনি খলিলকে ইয়াবাসহ ধরার দাবি করেন।

মাহবুবুল খলিলকে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি অটোরিকশায় তুলে দেযন।

পরে পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে খলিলের কাছ থেকে ১০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ওই মামলায় গত ৭ সেপ্টেম্বর খলিলকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরদিন ওই মামলায় জামিনে মুক্তি পান খলিল।

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Discrimination Students Movement

Students to launch political party by next February

Anti-Discrimination Student Movement and Jatiya Nagorik Committee will jointly lead the process

10h ago