কক্সবাজারে কটেজে ‘টর্চার সেল’, উদ্ধার ৪

কক্সবাজার জেলা শহরে 'টর্চার সেলের' খোঁজ পেয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সেখানে আটকে রাখা ৪ কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
কক্সবাজার
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

কক্সবাজার জেলা শহরে 'টর্চার সেলের' খোঁজ পেয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সেখানে আটকে রাখা ৪ কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা শহরের কলাতলী সড়ক সংলগ্ন লাইট হাউজ এলাকার আবাসিক কটেজ জোন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ এ 'টর্চার সেলের' খোঁজ পায়।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযানে উদ্ধার হওয়া ৪ কিশোরের মধ্যে ২ জন কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডিককূল এলাকার বাসিন্দা এবং অপর দুজন হলো টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপ এলাকার ও চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, প্রথম দুজন উখিয়া উপজেলার পালংখালী বাজার স্টেশনের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। তারা রোববার সকালে কক্সবাজার সাগর সৈকতে বেড়াতে এসে রাত্রি যাপনের জন্য 'শিউলি' নামের একটি আবাসিক কটেজে অবস্থান করছিলেন। অপর ২ জন কক্সবাজার শহরে মায়ের চিকিৎসা করতে এসে রাত্রি যাপনের জন্য একই কটেজে অবস্থান করছিলেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, 'আবাসিক কটেজ জোনের কথিত "টর্চার সেলে" কয়েকজন পর্যটককে দুর্বৃত্তরা জিম্মি করে আটকে রেখেছে এমন খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। "শিউলি" কটেজে গেলে সেটি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। পরে তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, একটি কক্ষে ৪ জনকে আটকে রাখা হয়েছে। তবে সংঘবদ্ধ অপরাধীরা বিকল্প পথে পালিয়ে যায়। ওই কক্ষ থেকে নির্যাতনের বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়।'

উদ্ধারকৃতদের বরাতে পুলিশ জানায়, ওই কটেজে যাওয়ার পর তাদের জিম্মি করে টাকাপয়সা হাতিয়ে নেওয়া হয়। পরিবারের কাছ থেকে আরও টাকা আনতে নির্যাতন করা হয়। 

এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় ১১ জনকে আটকের পর মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus sits with BNP delegation over reform commissions

BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir is leading the six-member delegation at the State Guest House Jamuna.

1h ago