মেঘনায় স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিহত ৪

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুন
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার আশরাফ উদ্দিন অদুদ (৩৬) এবং সদর উপজেলার মাহমুদ গাজী (৪০) ও বাবুল সরকার (৪৮) এবং  চাঁদপুরের নাঈম (৩০)।

গজারিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক মো. আলামিন এসব তথ্য নিশ্চিত করলেও আহতের নাম বলতে পারেননি তিনি।

আলামিন বলেন, 'দুর্ঘটনায় একজন নিখোঁজ ছিলেন। আজ শনিবার দুপুরে কোস্টগার্ড তার মরদেহ উদ্ধার করে।'

তিনি বলেন, 'দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নদীর এমন এক স্থানে যার আশপাশে কোনো জনমানুষ ছিল না। আমাদের কাছে প্রথম খবর আসে যে, একটি বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে স্পিডবোটের যাত্রীরা হতাহত হয়েছেন। পরে স্থানীয় কয়েকজন জানান, দুটি স্পিডবোটের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রকৃত ঘটনা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।'

নৌপুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, 'স্পিডবোটটি কোনো রুটে চলাচল করতো না। এসব স্পিডবোট নিয়ে রাতে যারা নদীতে বের হয় তারা নানা বেআইনি কাজে যুক্ত থাকে বলে জেনেছি। তবে সবকিছু তদন্তে বেরিয়ে আসবে।'

তিনি আরও বলেন, 'এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।'

এ ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় কয়েকজন জানান, অবৈধ বালুমহালের জন্য বাল্কহেড আটক করতে একটি স্পিডবোট ও একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে যাচ্ছিল নৌডাকাত নয়ন বাহিনীর লোকজন। এসময় নৌযান দুটিতে ১০-১২ জন আরোহী ছিলেন। রাতে ঘন কুয়াশার কারণে দ্রুতগতির স্পিডবোটটি ট্রলারে ধাক্কা দিলে ট্রলারটি তলিয়ে যায় এবং স্পিডবোটটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

তবে নিহত মাহমুদ গাজীর পিতা আবুল হোসেন গাজী বলেন, 'হতাহতরা একটি দাওয়াতে উপস্থিত হতে রাতে স্পিডবোটে করে বের হয়েছিল। আমার ছেলে আগে প্রবাসী ছিল। এখন বেকার। সে কোনো বালুমহালে কাজ করতো না।'
 

Comments

The Daily Star  | English
rickshaws banned on Dhaka's main roads

Rickshaws no longer allowed on main roads: DNCC

More than 100 illegal battery-powered rickshaws were seized during the joint operation

1h ago