৫ বছরে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন দেড় শতাধিক পরিবার: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনায় একসঙ্গে পুরো পরিবার নিহতের প্রবণতা বাড়ছে এবং গত পাঁচ বছরে দেড় শতাধিক পরিবার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
আজ মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে তারা এই ফলাফল পেয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি তাদের গবেষণায় যানবাহনভিত্তিক আলাদা পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছে।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা
মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী নিহতের ঘটনা ঘটেছে ১২৩টি এবং পিতা-পুত্র নিহতের ঘটনা ঘটেছে ৮৪টি। অর্থাৎ ১২৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৪৬ জন এবং ৮৪টি দুর্ঘটনায় ১৬৮ জন নিহত হয়েছেন।
অটোরিকশা দুর্ঘটনা
অটোরিকশার যাত্রী হিসেবে স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের দুইজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে ১৩৭টি; তিনজন নিহতের ঘটনা ৭৮টি; চারজন নিহতের ঘটনা ৬২টি; পাঁচজন নিহতের ঘটনা ৩৮টি; ছয়জন নিহতের ঘটনা ২৬টি এবং সাতজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে ১১টি। মোট ৩৫২টি পরিবারের এক হাজার ১৭৯ জন নিহত হয়েছে এসব দুর্ঘটনায়।
মাইক্রোবাস দুর্ঘটনা
মাইক্রোবাসের আরোহী হিসেবে একই পরিবারের দুইজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে ১৬টি; তিনজন নিহতের ঘটনা ২২টি; চারজন নিহতের ঘটনা ১৭টি; পাঁচজন নিহতের ঘটনা ১১টি; ছয়জন নিহতের ঘটনা আটটি এবং ১১ জন নিহতের ঘটনা একটি। মোট ৭৫টি পরিবারের ২৮০ জন নিহত হয়েছেন।
প্রাইভেটকার দুর্ঘটনা
প্রাইভেটকার আরোহী হিসেবে একই পরিবারের দুইজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে ২৪টি; তিনজন নিহতের ঘটনা ২১টি; চারজন নিহতের ঘটনা ১৭টি; পাঁচজন নিহতের ঘটনা ১৪টি। মোট ৭৬টি পরিবারের ২৪৯ জন নিহত হয়েছেন।
অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনা
অ্যাম্বুলেন্স আরোহী হিসেবে তিনজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে নয়টি; চারজন নিহতের ঘটনা পাঁচটি; পাঁচজন নিহতের ঘটনা তিনটি; আটজন নিহতের ঘটনা একটি। মোট ১৮টি পরিবারের ৭০ জন নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার কারণ
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গবেষণায় উঠে এসেছে, এসব দুর্ঘটনার কারণ হচ্ছে—
১. সড়ক অবকাঠামো বিস্তৃত হওয়ায় সপরিবারে বেড়াতে বা কাজে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি।
২. মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল।
৩. অধিকাংশ মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্সের ফিটনেস না থাকা।
৪. মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্স চালকদের অদক্ষতা ও বিশ্রামহীন গাড়ি চালানো।
৫. ট্রাফিক আইন না মেনে বেপরোয়া মোটরযান চালানো।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সুপারিশ
১. মোটরসাইকেল আরোহীদের ভালো মানের হেলমেট ব্যবহার করা।
২. ট্রাফিক আইন মেনে মোটরযান চালানো।
৩. মহাসড়কে রোড ডিভাইডার ও সার্ভিস রোড নির্মাণ করা।
৪. সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে নজরদারি করা।
Comments