১৩ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নেভেনি মেঘনার টিস্যু কারখানার আগুন, হেলে পড়েছে ভবন

মেঘনা গ্রুপের টিস্যু কারখানার আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপের টিস্যু কারখানার আগুন ১৩ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নেভেনি।

এদিকে, ভবনটি একদিকে হেলে পড়েছে এবং উপরের দুটি তলার মেঝে ধসে পড়েছে বলেও জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে স্টিল-স্ট্রাকচারের এ কারখানা ভবনটি।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের (নারায়ণগঞ্জ-২) উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মন্নান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'ভবনটি একদিকে হেলে পড়েছে। উপরের চতুর্থ ও পঞ্চম তলার মেঝেও ধসে পড়েছে। ভবনের ভেতরে ঢুকে অগ্নিনির্বাপণের কাজ করা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বাইরে থেকে টিটিএল (টার্ন টেবিল ল্যাডার) দিয়ে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে।'

'ভেতরে টিস্যু, কাগজ, টিস্যু তৈরির দাহ্য কাঁচামাল থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। একদিক দিয়ে আগুন নেভানো হলে অন্যদিক দিক দিয়ে জ্বলে ওঠে। এ কারণে সময় লাগছে। পুরোপুরি না নেভানো পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম চলবে।'

আজ ভোর ৫টার দিকে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর এলাকায় মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের টিস্যু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস লিমিটেডের পাঁচতলা একটি ভবনে আগুন লাগে। 

খবর পেয়ে ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের ছয়টি ফায়ার স্টেশনের ১২টি ইউনিট ও মেঘনা গ্রুপের নিজস্ব ফায়ার টিমের যৌথ চেষ্টায় সকাল ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

কারখানার এক কর্মী ডেইলি স্টারকে জানান, ভবনটি ওয়ার্কশপ ও ওয়্যারহাউজ উভয়কাজে ব্যবহার হতো। কারখানাটিতে প্রায় ৪০০ শ্রমিক কাজ করেন। ভোরেও কয়েকজন শ্রমিক ভেতরে ছিলেন। আগুন লাগার পরপরই নিরাপদে তারা বের হয়ে আসেন।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আব্দুল মন্নান বলেন, 'আগুনের সূত্রপাত কোথায় এবং কীভাবে তা এখনও নিরূপণ করা যায়নি। আগুন পুরোপুরি নেভানোর পর তদন্ত কমিটি আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করবে।'

Comments

The Daily Star  | English

3,930 candidates for 44th BCS to face fresh viva: PSC

The oral interviews of these candidates were conducted up until July 18 after a total of 11,732 examinees passed the 44th BCS written tests

2h ago