মৃত মায়ের কাছে লাশ হয়ে ফিরলেন পোশাককর্মী নুপুর

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে গাইবান্ধা যাচ্ছিলেন পোশাকর্মী নুপুর আক্তার (২৩)। সঙ্গে ছিলেন চাচাতো বোন রুনা আক্তার। কিন্তু পথে ট্রাকচাপায় নিজেই লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন তিনি।

আজ রোববার সকালে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নুপুরের চাচাতো বোন রুনাও নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত নুপুরের স্বামী রাকিবুল ইসলাম (২৯) এখন হাসপাতালে ভর্তি।

নুপুর ও রুনার পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, তাদের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার দক্ষিণগিদারী গ্রামে। তারা দুজনেই আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। গতকাল শনিবার রাতে নুপুরের মা মারা যান। আজ ভোরে মোটরসাইকেলে করে তারা রওনা হন বাড়ির উদ্দেশে। সকাল সাড়ে ৭টায় ভবানীপুর ইউনিয়নের ধনমুন্ডি এলাকায় পৌঁছালে ট্রাকটি নুপুরদের বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়।

বগুড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা বখতিয়ার উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা দুর্ঘটনার খবর পাই সকাল ৮টার দিকে। নুপুর ও রুনা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত রাকিবুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আর লাশ দুটি হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।'

দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলে শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। বর্ষায় জায়গাটির অবস্থা এখন খুব খারাপ। খারাপ রাস্তার কারণে রাকিবুল মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় পড়ে যান। তখন পেছন থেকে একটি ট্রাক তাদের চাপা দিয়ে চলে যায়।'

আহত রাকিবুল এখন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও জানান আজিজুল ইসলাম। বলেন, পরিবারের সদস্যরা নুপুর ও রুনার লাশ নিয়ে গেছে।

এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ওসি বলেন, 'তাদের পরিবারের কেউ মামলা করবেন না বলে জানিয়েছেন। ট্রাকটিকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি।'

Comments

The Daily Star  | English

$14b lost to capital flight a year during AL years

Bangladesh has lost around $14 billion a year on average to capital flight during the Awami League’s 15-year tenure, according to the draft report of the committee preparing a white paper on the economy.

9h ago