গাজী টায়ারস কারখানার আগুন নিভেছে, শুরু হয়নি উদ্ধার অভিযান

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত গাজী টায়ারস কারখানা ভবনের বিভিন্ন অংশ খসে পড়ছে। ছবি: স্টার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ারস কারখানার আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে দেওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে, ভবনটিতে এখনো উত্তাপ থাকায় পানি ছিটিয়ে যাচ্ছেন দমকল কর্মীরা।

এদিকে, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটিতে ঢোকার আগে কারিগরি বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের (জোন-২) উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মন্নান। তিনি বলেছেন, ভবনের নিরাপত্তার ছাড়পত্র ছাড়া ভেতরে ঢুকে অনুসন্ধানে অভিযান শুরু করা যাচ্ছে না।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল সকালে আগুন নেভানোর পর শুরুতে আমরা ভবনটির সিঁড়ি দিয়ে চারতলা পর্যন্ত উঠতে পেরেছিলাম। সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে যতদূর দেখা যায় ততদূর কোনো ভিকটিমের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।'

মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর কথা জানালেও বিকেলের পর ভবনটিতে আবারও আগুন জ্বলে ওঠে। রাতে আগুনের তীব্রতা বাড়ে। পরে রাতের মধ্যেই আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে বলে জানান আব্দুল মন্নান।

তিনি বলেন, 'ভেতরে প্ল্যাস্টিক, রাবারজাতীয় বস্তু থাকার কারণে প্রতিনিয়ত পানি ছিটিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে আগুন জ্বলতে থাকায় ভবনটি এখন অনিরাপদ। আমরা গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের অপেক্ষায় আছি। তাদের নির্দেশনা ছাড়া ভবনটিতে ঢুকে অনুসন্ধান চালানো যাচ্ছে না।'

এদিকে মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ছাইফুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগুনের তাপে ভবনটির বিভিন্ন অংশ খসে পড়ছে। ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাতে আছে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে বুধবারের মধ্যে তারা আগুন পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হবেন। আগুন পুরোপুরি নিভে গেলে আমরা পর্যবেক্ষণ করব। ভবনটিতে প্রবেশ করে উদ্ধার অভিযান চালানো যায় কিনা সে ব্যাপারে তখন পরামর্শ দেব।'

এদিকে ভবনে অনুসন্ধান চালাতে না পারায় নিখোঁজদের বিষয়ে চূড়ান্ত তথ্য দিতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন একটি তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছে জানালেও নিখোঁজের কোনো সংখ্যা গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ফলে নিখোঁজদের খোঁজে স্বজনদের অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হচ্ছে। ঘটনার চতুর্থ দিন বুধবার সকালেও কারখানার সামনে ও আশপাশের এলাকায় নিখোঁজদের স্বজনদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Govt to expedite hiring of 40,000 for public sector

The government has decided to expedite the recruitment of 6,000 doctors, 30,000 assistant primary teachers, and 3,500 nurses to urgently address the rising number of vacancies in key public sector positions.

7h ago