সাভারে তেলের লরি উল্টে আগুনে আরও একজনের মৃত্যু

সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গতকাল সকালে তেলের লরি উল্টে পাঁচটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ছবি: পলাশ খান/স্টার

ঢাকার সাভারে তেলের ট্যাংকার থেকে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় চার জন মারা গেলেন।

গত রাত দেড়টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের একটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সাকিব (১৪) মারা যান।

বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, সাকিবের শরীরের শতভাগই পুড়ে গিয়েছিল।

তিনি জানান, এই ঘটনায় বাকি ৬ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিরাও গুরুতর।

সাকিবের বড় ভাই মো. নাইম জানান, তাদের বাড়ি বরগুনার সদর উপজেলায়। বাবার নাম আবেদ আলী। পেশায় ট্রাক হেলপার ছিল সাকিব। আগুনে পুড়ে যাওয়া তরমুজের ট্রাকে ছিল সে।

এর আগে, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হেমায়েতপুর জোড়পুল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পর বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসলে নজরুল ইসলাম (৪৫) নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। রাত ১০টার দিকে মারা যান হেলাল উদ্দিন (৪০)। এছাড়া ইকবাল হোসেন নামে আরও একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।

দগ্ধ অন্যরা হলেন প্রাইভেটকার চালক আ. সালাম (৩৫), প্রিমিয়ার সিমেন্ট বহনকারী গাড়ির চালক আলআমিন (২৮) ও গাড়িটির লেবার মিলন মোল্লা (২০), ফল ব্যবসায়ী আলআমিন (৩০), তার মেয়ে স্কুলছাত্রী মিম (১০) ও ফল ব্যবসায়ী নিরঞ্জন (৪৫)।

হাসপাতালে ভর্তি দগ্ধ প্রাইভেটকার চালক আ. সালাম জানান, তিনি হেমায়েতপুরে সিএনজি পাম্প থেকে গ্যাস নিয়ে ঢাকার দিকে ফিরছিলেন। তবে হেমায়েতপুর জোড়পুল এলাকায় একটি তেলের ট্যাংকার দুর্ঘটনায় রাস্তার উপর উল্টে ছিল। সেটির কারণে পাশ দিয়ে অন্যসব গাড়ি ধীর গতিতে পার হচ্ছিল। আর রাস্তায় ওই ট্যাংকার থেকে তেল গড়িয়ে পড়ছিল। তখন হঠাৎ সেখানে আগুন ধরে উঠে। এতে ট্যাংকারের আশপাশে থাকা অনেকগুলো গাড়িতে আগুন ধরে যায়।

Comments

The Daily Star  | English

'No legal bar' to Babar's release after acquittal in another 10-truck arms case

He has now been cleared in both cases filed over the high-profile incident from 2004

2h ago