পরিচয় মিলল শিশুটির, সঙ্গে মা-বাবার

মেহেরুন নেসা হেলালী ও শাহজালাল উদ্দীন এবং তাদের তিনবছরের একমাত্র সন্তান ফাইরুজ কাশেম জামিরা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া শিশুর মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। শনাক্ত হয়েছে তার বাবা-মার মরদেহও।

তারা হলেন - শাহজালাল উদ্দীন (৩৪), তার স্ত্রী মেহেরুন নেসা হেলালী (২৪) এবং তাদের তিনবছরের একমাত্র সন্তান ফাইরুজ কাশেম জামিরা।

শাহজালাল উদ্দীন একজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা।

গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে এসে তিন জনের মরদেহ সনাক্ত করেন মেহেরুন্নেছার বাবা মোক্তার আলম হেলালী।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে স্বজনদের ভিড়। ছবি: আনিসুর রহমান/স্টার

মোক্তার আলম বলেন, 'আমি ছোট মেয়েকে নিয়ে ঢাকার কাকরাইল এলাকায় একটি হোটেলে ছিলাম। ছোট মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মেয়ে মেহেরুন্নেছার বাসায় নাস্তা করে আসি। আমার মেয়ে জামাই শাহজালাল সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা। তার অফিস ঢাকার কেরাণীগঞ্জের পানগাঁও এলাকায়। শাহজালালের বাড়ি কক্সবাজার উখিয়া থানার পূর্ব গোয়ালিয়া গ্রামে। বাবা মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবুল কাশেম। স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে কেরাণীগঞ্জ হাসনাবাদ বসুন্ধরা রিভারভিউ এলাকায় থাকতেন। শাহজালাল অফিস থেকে তিন দিনের ছুটি পেয়েছিলেন। সেই ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে খাগড়াছড়ি ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই অনুযায়ী রাজারবাগ এলাকায় গ্রিন লাইন বাসের টিকেটও কেটেছিলেন।'

বৃহস্পতিবার রাতে বাসে চড়ে রওনা দেওয়ার কথা ছিল পরিবারটি। সেই জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনজন বাসা থেকে রওনা হন। এরপর বেইলি রোডে ওই ভবনের কোনো একটি রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে উঠেছিলেন। সেখানেই আগুনে পুড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, স্বজনরা তাদের চেহারা দেখেই পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছেন। রাতে তিনটি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Consensus talks: Poor progress may delay July Charter

Political parties have failed to reach an agreement on any reform proposals for the fifth consecutive day of the consensus talks.

10h ago