‘পরিবারটির আর কেউই রইলো না’

মোবারক, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে ইতালি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন কয়েক বছর ধরে সেই দেশটিতে থাকা সৈয়দ মোবারক হোসেন (৪৮)।

অবেশেষে দুই মেয়ে ফাতেমা তুজ জোহরা কাশফিয়া (১৯) ও আমেনা আক্তার নূর (১৩), আট বছর বয়সী ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ ও তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তারের (৪০) জন্য ভিসা পেয়েছিলেন। আগামী ১৮ মার্চ পুরো পরিবার নিয়ে তাদের ইতালির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল।

সেই আনন্দ উদযাপন করতেই গতকাল রাতে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের 'কাচ্চি ভাই' রেস্তোরাঁয় কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে গিয়েছিলেন পরিবারটি। কিন্তু গতকাল রাতের অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা গেছে এই পরিবারের পাঁচজনই।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেকজ) হাসপাতাল থেকে এই পাঁচজনের মরদেহ নিতে এসে দ্য ডেইলি স্টারকে এসব কথা জানান মোবারকের চাচাত ভাই সৈয়দ ঋয়াদ।

ঋয়াদ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা মোবারকের ইতালিতে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা থাকলেও তার পরিবার রাজধানীর মধুবাগ এলাকায় বসবাস করত।

'মোবারক ভাই জানুয়ারিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন পুরো পরিবারকে ইতালি নিয়ে যেতে, তাদের উন্নত জীবন দেওয়ার আশায়। কিন্তু সব পুড়ে ছাই হয়ে গেল', কান্নার্ত কণ্ঠে বলছিলেন রিয়াদ।

মোবারকের আরেক চাচাত ভাই সৈয়দ ফয়সাল বলেন, পাঁচ সদস্যের পরিবারের সবাই আগুনে পুড়ে মারা গেল। আর কেউই রইলো না।

এখন পর্যন্ত এই আগুনে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Admin getting even heavier at the top

After the interim government took over, the number of officials in the upper echelon of the civil administration has become over three times the posts.

7h ago