রান্নার গ্যাস থেকে আগুনের পৃথক ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু

রান্নাঘরে সিলিন্ডার থেকে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসে আগুন
ছবি: স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ঘরে ছড়িয়ে পড়া রান্নার গ্যাসে লাগা আগুনে দগ্ধ হয়ে চার জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ঢাকার আশুলিয়ায় দগ্ধ দুই নারীসহ ছয় জনের মধ্যে সাবিনা বেগম (৪০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিন পেশায় পোশাক কারখানার কর্মী। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে শেখ হাসিনা জাতিয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জিরি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা যান।

আরেকটি ঘটনা গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকার। বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধের ঘটনায় মিনারুল ইসলাম (৩৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা যান। গত রোববারের এই ঘটনার পরদিন মিনারুলের বাবা মারা যান।

তৃতীয় ঘটনাটি, রাজধানীর জুরাইন মাদবর বাজার এলাকার। সেখানে বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ মুক্তার খাতুন (৩০) নামে এক নারী ও তার স্বামী আতাহার (৩৫) মারা গেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে শেখ হাসিনা জাতিয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জিরী ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মুক্তা। বিকেল ৫টার দিকে তার স্বামী আতাহার মারা যান। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম দম্পতির মৃত্যুর কথা জানান।

রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে জুরাইন মাদবর বাজারের সলিমুল্লাহ রোডে ৪ তলা বাড়ির নিচতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

চিকিৎসক জানান, মুক্তার শরীরের ৪৫ শতাংশ এবং তার স্বামী আতাহারের শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাদের মেয়ে  আফসানা আক্তার (৫) ২৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছে। মুক্তার বাবা আলতাফ সিকদার (৭০),ও তার স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে (৫৫) প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পোশাক কারখানার কর্মী সাবিনা বেগমের মৃত্যুর ব্যাপারে ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, সাবিনার শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ওই দুর্ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে সাদেকুল ৫০ শতাংশ, হাশেম ৪৫ শতাংশ, নজরুল ৪৫ শতাংশ, কোমেলা বেগম ২০ শতাংশ, ও মহসিন ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন।

গত শনিবার রাত ৮টার দিকে আশুলিয়া ধানসোনা ইউনিয়নের নতুন নগর এলাকার একটি টিনসেড বাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই দগ্ধদের বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা মিনারুল ইসলামের মৃত্যুর ব্যাপারে ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, মিনারুলের শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিনারুলের বাবা ফরমান মন্ডল (৬৫)। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তার মা খাদিজা বেগম (৫২)।

মিনারুলের সহকর্মী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, তিনি ঢাকাতেই থাকেন। রোববার দিবাগত রাতে খবর পান গাজীপুরের বোর্ডবাজার কলমেশ্বর এলাকায় মিনারুলের ভাড়া বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। রাতে তাদেরকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।

মিনারুলের ভাই আনারুল ইসলাম বলেন, তাদের বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে।

Comments

The Daily Star  | English

NCP leaders, activists attacked in Gopalganj following rally

Chase and counter-chase were seen between law enforcers and BCL activists in the area

2h ago