কক্সবাজারে ৩টি ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১১ জেলে
কক্সবাজারের অদূরে বঙ্গোপসাগরে ৩টি মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। ওই ৩টি ট্রলারের ৫৯ জনের মধ্যে ৪৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, ১১ জন এখনো নিখোঁজ আছেন।
কোস্টগার্ড সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজার জেলা শহরের উত্তরের নাজিরাটেকের বাঁকখালী-বঙ্গোপসাগরের সংযোগ চ্যানেলে একটি এবং কুতুবদিয়া দ্বীপ থেকে প্রায় ৬ ঘণ্টার দূরত্বে গুলিধারার বাইরের গভীর সমুদ্রে ২টি মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, আজ শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে কূলে ফেরার পথে বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেকের সংযোগ চ্যানেলে উত্তাল ঢেউয়ে ১৯ জনকে নিয়ে এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় সাগরে অবস্থান করা আরেকটি ট্রলারের ৮ জেলেকে উদ্ধার করে। তবে, এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারটির ১১ জন জেলে এখনো নিখোঁজ আছেন। উদ্ধার জেলেদের শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। তাদের কোস্টগার্ড স্টেশনে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জানে আলম পুতু বলেন, 'আবহাওয়া বৈরী থাকলে মাছ ধরা ট্রলারগুলো কূলে ফিরে আসা শুরু করে। আজ গভীর সাগর থেকে কূলে ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয় কয়েকটি ট্রলার।'
এছাড়া, কুতুবদিয়া দ্বীপের নিকটবর্তী গভীর সাগরে এফবি আল্লাহর দান ও এফবি কুলসুমা দুটি মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। ওই দুই ট্রলারের মোট ৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, ট্রলারগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় গভীর সাগরে ওই দুইটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।
এফবি আল্লাহর দান ট্রলার মালিক কলিম উল্লাহ বলেন, 'কুতুবদিয়া থেকে প্রায় ৬ ঘণ্টার দূরত্বের গুলি ধারার বাইরের গভীর সাগরে জেলেরা জাল ফেলে মাছ ধরার জন্য অবস্থান করছিল। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ করে সাগরে প্রচণ্ড বাতাস ও ঢেউ শুরু হয়। ঢেউয়ের আঘাতে তার মালিকানাধীন ট্রলারের তলা ফেটে ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা ২০ জন জেলে ভাসমান বয়া (লাইভ জ্যাকেট) আঁকড়ে ধরে সাগরে ভাসতে থাকে। পরে কাছাকাছি অবস্থানকারী কুতুবদিয়ার আকবর বলী ঘাট এলাকার জসিম উদ্দিনের মালিকানাধীন একটি ট্রলারের জেলেরা এগিয়ে এসে ভাসমান জেলেদের উদ্ধার করে।
উত্তর ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনম শাহরিয়ার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'উদ্ধার হওয়া জেলেরা সবাই সুস্থ আছেন।
Comments