‘বাণিজ্য অনুমতি না থাকলেও গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত’
বাণিজ্য অনুমতি না থাকলেও গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বুধবার দুপুরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন থেকে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্য অনুমতি না থাকলেও যে রেস্তোরাঁ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় সেখানে গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল। এটা কীভাবে সম্ভব হলো জানতে চাইলে তাপস বলেন, এটা আসলে অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা দেখলাম যে, এখানে কীভাবে একটি রেস্তোরাঁ যার বাণিজ্য অনুমতি নেই, যে স্থাপনার কোনো বৈধতা নেই, একটা ওয়াকফ স্টেটের সম্পত্তি; সেখানে রেস্তোরাঁ করেছে, কারখানা করেছে। আমরা বাণিজ্য অনুমতি না দেওয়া স্বত্বেও কীভাবে গ্যাস, বিদ্যুতের সংযোগ পেল এই বিষয়গুলো আসলে সব সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আইনকে কঠোরভাবে পরিপালন করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে এ রকম দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
ডিএসসিসি মেয়র আরও বলেন, আমাদের তরফ থেকে আমরা বাণিজ্য অনুমতি বন্ধ করে রেখেছি। অন্যান্য সংস্থাগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা উচিত যে, তারা কীভাবে বাণিজ্য অনুমতি ছাড়া গ্যাস সংযোগ পাচ্ছে। আমরা জানি, গ্যাস সংযোগ পুরো ঢাকা শহরে অবৈধভাবে পেয়ে থাকে। খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে, এটা অবৈধভাবেই পেয়েছে। মাঠ পর্যায়ে যদি যাচাই-বাছাই না করা হয়, কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে এই দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে তো ঘটছে আমরা প্রত্যেক বছরই কিন্তু দেখছি। শুধু নিমতলী বা চুড়িহাট্টা না, প্রত্যেক বছরই কয়েকটি করে ঘটনা ঘটেই চলেছে।
করপোরেশনের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি আবারও মন্ত্রিপরিষদকে জানাবো। প্রতিবেদন জমা দেবো। ডিসেম্বরের মধ্যে যেন অন্তত ৫০০ কারখানা স্থানান্তর করা হয়। আমার মনে হয়, সেটাই সমাধানের প্রথম উদ্যোগ হতে পারে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে আমি মনে করি, নদী অববাহিকায় এত সুন্দর এলাকায় গুদামঘর থাকা উচিত না। এটাকে পর্যটনবান্ধব একটি নগরী যদি গড়ে তুলতে পারি তাহলে ঢাকা মানুষের কাছে আরও সমাদৃত হবে।
Comments