আফগানিস্তানে বিউটি পার্লার বন্ধের নির্দেশ তালেবানের

আফগানিস্তানের এক বিউটি পার্লারে কাজ করছেন নারীকর্মীরা। ফাইল ছবি: এএফপি
আফগানিস্তানের এক বিউটি পার্লারে কাজ করছেন নারীকর্মীরা। ফাইল ছবি: এএফপি

আফগানিস্তানের তালেবান শাসক গোষ্ঠী তাদের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার নির্দেশে রাজধানী কাবুল ও দেশের অন্যান্য প্রদেশে অবস্থিত নারীদের সব বিউটি পার্লার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম টোলোনিউজ দেশটির নীতি ও নৈতিকতাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আকিফ মাজাহারের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

এছাড়াও, নীতি ও নৈতিকতাবিষয়ক মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কাবুল পৌরসভাকে বলেছে আফগানিস্তানের নেতার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে নারীদের সব বিউটি পার্লারের নিবন্ধন বাতিল করতে।

রায়হান মুবারিজ নামের এক মেকআপ শিল্পী টোলোনিউজকে বলেন, 'পুরুষদের চাকরি নেই। যখন পুরুষরা তাদের পরিবারের দায়িত্ব নিতে পারে না, তখন নারীরা বাধ্য হয়ে একটুকরো রুটির সংস্থান করতে বিউটি পার্লারে চাকরি নেয়। এখন এটা যদি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে আমরা কী করবো?'

এক নারী মেকআপ আর্টিস্ট নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, 'যদি বাড়ির পুরুষদের কাজ থাকে, তাহলে আমরা বাসা থেকে বের হই না। আমাদের কী করার আছে? আমরা যদি না খেয়ে মারা যাই, আপনারা কী করবেন? আপনারা সেটাই চান।'

তালেবান শাসকগোষ্ঠী দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর নারী ও মেয়েদের স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া ও এনজিওতে চাকরি করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এছাড়াও, নারীরা পার্ক, সিনেমা হল বা অন্যান্য বিনোদনকেন্দ্রেও যেতে পারেন না। এসব বিধিনিষেধের সঙ্গে যোগ হল পার্লার বন্ধের নির্দেশ।

আফগানিস্তানের এক বিউটি পার্লারে কাজ করছেন নারীকর্মীরা। ফাইল ছবি: এএফপি
আফগানিস্তানের এক বিউটি পার্লারে কাজ করছেন নারীকর্মীরা। ফাইল ছবি: এএফপি

কাবুলের বাসিন্দা আব্দুল খবির বলেন, 'সরকারের উচিৎ একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা। নীতিমালা এমন হওয়া উচিৎ, যাতে ইসলাম বা দেশ, কোনোটারই ক্ষতি না হয়।'

আফগান নারী ও মেয়েদের ওপর বিভিন্ন রকমের বিধিনিষেধ আরোপে আফগানিস্তানের ডি ফ্যাক্টো শাসক তালেবানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
Int’l firms to be hired to recover laundered money

Foreign firms to be hired to recover laundered money

A meeting between BFIU and managing directors of the banks made the decision

13h ago