জঙ্গিদের দখলে সিটিডি কেন্দ্র, পাকিস্তানকে সহায়তার প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের
পাকিস্তানে বান্নুর কাউন্টার টেরোরিজম ডিপার্টমেন্টের (সিটিডি) একটি কেন্দ্র দখল করে রেখেছে জঙ্গিরা। এ খবর জানার পর জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) ও অনুরূপ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানকে নিঃশর্ত সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করা উভয় দেশের লক্ষ্য।
আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একইসঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানকে তাদের মতপার্থক্য সমাধানে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২ দেশকে তারা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সঙ্গে 'অংশীদারিত্ব' চালিয়ে যেতে চায়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আহতদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই। দায়ীদের প্রতি আমাদের আহ্বান, তারা যেন সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করে জিম্মিদের মুক্তি দেয় এবং ওই কেন্দ্রটি ছেড়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর চ্যালেঞ্জসহ এসব উদ্বেগের ক্ষেত্রে পাকিস্তান সরকার আমাদের একটি অংশীদার। পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত।
রোববার জঙ্গিরা পাকিস্তানের বান্নু কাউন্টার টেরোরিজম ডিপার্টমেন্টের (সিটিডি) একটি কেন্দ্র দখলে নেয়। বিষয়টি সমাধানে পাকিস্তান সরকার ও জঙ্গিদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। তবে, এখনো আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সিটিডি কেন্দ্রটি দখলে নেয় আটক জঙ্গিরা। পরে জিজ্ঞাসাবাদকারী কর্মকর্তা ও সিটিডি কর্মীদের জিম্মি করে নিরাপদে আফগানিস্তানে যাওয়ার দাবি জানায় তারা।
এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)।
এক বিবৃতিতে জঙ্গি সংগঠনটির এক মুখপাত্র বলেছেন, তাদের সদস্যরা সিটিডি কর্মী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জিম্মি করে রেখেছে।
তিনি দাবি করেন, আগের এক ভিডিওতে নিরাপদে স্থানান্তরে 'ভুলবশত' আফগানিস্তানের কথা উল্লেখ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের সদস্যদের দক্ষিণ বা উত্তর ওয়াজিরিস্তানে স্থানান্তরের কথা বলেছি। তবে, আমরা এখনো কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি।
Comments