‘ঢাকা হবে সিঙ্গাপুর’: কারা সিঙ্গাপুরের মন্ত্রী-মেয়র

singapore
স্টার বাংলা অনলাইন গ্রাফিক্স

প্রায়শই শোনা যায় 'ঢাকাকে সিঙ্গাপুর বানানো হবে'। সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের নেতা-মন্ত্রীরা অধিকাংশ সময় তাদের বক্তব্যে এমন কথা বলে থাকেন।

স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে, 'ঢাকাকে সিঙ্গাপুর বানানো হবে' বলতে আসলে কী বোঝানো হয়? সিঙ্গাপুর মানে কি চকচকে ঝকঝকে শহর-ভবন, না এগুলো গড়ে তোলার নেপথ্যের মানুষ?

আধুনিক সিঙ্গাপুরের রূপকার লি কুয়ান ইউ। কঠোর একনায়ক হিসেবে তার সমালোচনা আছে। তবে তিনি তৃতীয় বিশ্বের একটি জেলেপল্লীকে প্রথম বিশ্বের অন্যতম একটি রাষ্ট্রে পরিণত করে গেছেন। কোনো প্রাকৃতিক সম্পদ না থাকা সত্ত্বেও সিঙ্গাপুরকে অন্যতম ধনী দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন। লি কুয়ান ১৯৫৯ সালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন এবং ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

লি কুয়ান সিঙ্গাপুরকে একটি উন্নত দেশ করার জন্য নানা উদ্যোগ নেন। তারমধ্যে অন্যতম হলো মানবসম্পদ উন্নয়ন। তিনি নিজেও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন। শিক্ষার উন্নয়ন, শিক্ষিত মানবসম্পদ গড়ে তোলা ও তাদেরকে দেশ পরিচালনায় নিয়ে আসা ছিল লি কুয়ান ইউয়ের অন্যতম এজেন্ডা। তিনি তা করেও গেছেন। সরকারি প্রশাসন ও রাজনীতিতে সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিতরাই নেতৃত্ব দিয়ে একদা জেলেপল্লীকে সিঙ্গাপুরে পরিণত করেছেন। বর্তমানে যারা সিঙ্গাপুরের দায়িত্বে আছেন তাদের অধিকাংশই ম্যাসাচুসেটস, অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন।

আধুনিক সিঙ্গাপুরের রূপকার থেকে বর্তমানে যারা সিঙ্গাপুর পরিচালনা করছেন, তাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী, ৮ জন মন্ত্রী ও ৫ জন মেয়রের তথ্য তুলে ধরা হলো।

প্রধানমন্ত্রী: লি সিয়েন লুং

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়

লি সিয়েন লুং ২০০৪ সাল থেকে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আধুনিক সিঙ্গাপুরের রূপকার লি কুয়ান ইউয়ের বড় ছেলে।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি উপ-প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় মন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রী পদে নিযুক্ত ছিলেন।

রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে লি সিয়েন লুং সিঙ্গাপুর সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তিনি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

তিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে বিএ এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে ম্যাসন ফেলো ছিলেন এবং জনপ্রশাসনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী: ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণন

রয়েল কলেজ অব সার্জনস, এডিনবার্গ

ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমএফএ) দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি স্মার্ট নেশন ইনিশিয়েটিভের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরিবেশ ও পানি সম্পদ মন্ত্রী; কমিউনিটি উন্নয়ন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী; দ্বিতীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী; উদ্যোক্তা মন্ত্রী (ইনচার্জ); দ্বিতীয় তথ্য, যোগাযোগ ও শিল্পমন্ত্রী এবং জাতীয় উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১ সাল থেকে তিনি সংসদ সদস্য।

ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণন ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরে মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অপথ্যালমোলজিতে স্নাতকোত্তর করার পর তিনি ১৯৯১ সালে এডিনবার্গের রয়েল কলেজ অব সার্জনসের ফেলো হিসাবে ভর্তি হন।

অর্থমন্ত্রী: লরেন্স ওয়াং

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়

লরেন্স ওয়াং সিঙ্গাপুরের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী। ওয়াং ২০১১ সালের মে মাসে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর ও ২০২০ সালের জুলাই মাসে পুনরায় নির্বাচিত হন। তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; যোগাযোগ ও তথ্য মন্ত্রণালয়; সংস্কৃতি, সম্প্রদায় ও যুব মন্ত্রণালয়; জাতীয় উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সিভিল সার্ভেন্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। ওয়াং এর আগে এনার্জি মার্কেট কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী এবং প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুংয়ের প্রধান ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কাজ করেছেন।

ওয়াং উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয় এবং মিশিগান-অ্যান আর্বার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি হার্ভার্ড কেনেডি স্কুল থেকে জনপ্রশাসনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।

শিক্ষামন্ত্রী: চ্যান চুন সিং

ক্যামব্রিজ ও ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়

চ্যান চুন সিং ২০২১ সালে সিঙ্গাপুরের শিক্ষামন্ত্রী নিযুক্ত হন। তিনি ২০১৮ সাল থেকে জনসেবার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীও।

২০১৮ সালের ১ মে থেকে ২০২১ সালের ১৪ মে পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের অর্থনৈতিক ও শিল্প উন্নয়ন মন্ত্রী এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী (এমটিআই) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৫ সালের মে থেকে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত তিনি ন্যাশনাল ট্রেডস ইউনিয়ন কংগ্রেসের (এনটিইউসি) মহাসচিব ছিলেন। এনটিইউসির পূর্বে তিনি সামাজিক ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রী (২০১৩-২০১৫) এবং সমাজ উন্নয়ন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের (২০১১-১২) ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (২০১৩-১৫) এবং তথ্য, যোগাযোগ ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী (২০১১-১২) ছিলেন।

চ্যান চুন সিং যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রাইস্টস কলেজ থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়া, তিনি ইউএস আর্মি কমান্ড অ্যান্ড জেনারেল স্টাফ কলেজ থেকে ১৯৯৮ সালের ডিস্টিংগুইশড মাস্টার স্ট্র্যাটেজিস্ট পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৫ সালে, তিনি লি কুয়ান ইউ শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে স্লোয়ান ফেলো প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেন।

স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী: কে শান্মুগাম

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর

কে শান্মুগাম ২০০৮ সালের মে থেকে আইনমন্ত্রী এবং ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি ২০১০ সালের নভেম্বর থেকে ২০১১ সালের মে পর্যন্ত সংক্ষিপ্তভাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালের মে থেকে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কে শান্মুগাম ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত র‌্যাফেলস ইনস্টিটিউশনে পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরে (এনইউএস) আইন বিষয়ে পড়েন। ১৯৮৫ সালে তিনি সিঙ্গাপুর বারে আইনজীবী ও সলিসিটর হিসেবে যোগ দেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী: ওং ইয়ে কুং

লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স

ওং ইয়ে কুং ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে সেম্বাওয়াং গ্রুপ রিপ্রেজেন্টেশন নির্বাচনী এলাকার (জিআরসি) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০২০ সালের জুলাইয়ে সেম্বাওয়াং জিআরসিতে পুনরায় নির্বাচিত হন।

তিনি পরিবহনমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং সিঙ্গাপুরের আর্থিক কর্তৃপক্ষের বোর্ড সদস্য পদে ছিলেন। তিনি চীনা উন্নয়ন সহায়তা পরিষদের চেয়ারম্যানও।

ওয়ং ইয়ে কুং লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স (যুক্তরাজ্য) এবং ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট ডেভেলোপমেন্ট, লুসুয়ানা (সুইজারল্যান্ড) থেকে স্নাতকোত্তর করেন।

জাতীয় উন্নয়ন মন্ত্রী: দেশমন্ড লি

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়

দেশমন্ড লি বর্তমানে জাতীয় উন্নয়ন মন্ত্রী এবং সামাজিক সেবা ইন্টিগ্রেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী।

লি ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম জাতীয় উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে জুরোং জিআরসির সংসদ সদস্য হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর লি স্বরাষ্ট্র ও জাতীয় উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১৭ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র ও জাতীয় উন্নয়ন বিষয়ক দ্বিতীয় মন্ত্রী নিযুক্ত হন। পরে একই বছর লি সামাজিক ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রী এবং জাতীয় উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় মন্ত্রী নিযুক্ত হন।

লি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ল ক্লার্ক হিসেবে সিভিল সার্ভিসের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল চেম্বারের ক্রিমিনাল জাস্টিস ডিভিশনে ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর এবং স্টেট কাউন্সেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে লিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আইন বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

লি ২০০১ সালে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরে থেকে আইন বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী: গান কিম ইয়ং

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে

গান কিম ইয়ং ২০২১ সালের ১৫ মে বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী নিযুক্ত হন। এর আগে তিনি ২০১১ সালের মে থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০১১ সালের মে পর্যন্ত গান জনশক্তি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী (অক্টোবর ২০০৫ থেকে মার্চ ২০০৮) এবং জনশক্তি প্রতিমন্ত্রী (অক্টোবর ২০০৫ থেকে মার্চ ২০০৮) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

গান সিঙ্গাপুর সিভিল সার্ভিসের মাধ্যমে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি সিভিল সার্ভিস ছেড়ে দিয়ে করপোরেট প্ল্যানিংয়ের ম্যানেজার হিসেবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাটস্টিল লিমিটেডে যোগ দেন। ২০০৫ সালে তিনি ন্যাটস্টিলের সিইও এবং প্রেসিডেন্ট হন।

গান ১৯৮১ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল বিষয়ে পড়ার জন্য মেরিট স্কলারশিপ পান। সেখান থেকে স্নাতক শেষে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৮৫ সালে প্রকৌশলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

পরিবহনমন্ত্রী: এস ঈশ্বরন

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়

এস ঈশ্বরন ১৯৮৭ সালে সিঙ্গাপুর অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে যোগ দেন। তিনি স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসে এবং পরে সিঙ্গাপুর ইন্ডিয়ান ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত হন।

ঈশ্বরন ১৯৯৭ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ৬টি সাধারণ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৬ সালে মন্ত্রিসভায় নিয়োগের পূর্বে তিনি বেশ কয়েকটি সরকারি সংসদীয় কমিটিতে এবং ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৬ সালের জুন পর্যন্ত সংসদের ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ঈশ্বরন অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি পড়েন। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টার্সও করেছেন।

সিটি মেয়র

উত্তর-পূর্ব জেলার মেয়র: ডেসমন্ড চু পে চিং

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়

ডেসমন্ড চু পে চিং ২০১৭ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব জেলার মেয়র এবং ২০১৫ সাল থেকে ন্যাশনাল ট্রেডস ইউনিয়ন কংগ্রেসের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

চু এআই টং স্কুল, ক্যাথলিক হাই স্কুল এবং ন্যাশনাল জুনিয়র কলেজে পড়াশোনা করেন, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন।

দক্ষিণ-পশ্চিম জেলার মেয়র: লো ইয়েন লিং

নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি

লো ইয়েন লিং ২০১১ সালের সাধারণ নির্বাচনে চুয়া চু কাং জিআরসির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় (এমওই) এবং জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের (এমওএম) সিনিয়র সংসদীয় সচিব। তিনি ২০১৪ সালের মে মাস থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম জেলার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

লো ডানম্যান নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেন।

সেন্ট্রাল সিঙ্গাপুর ডিস্ট্রিক্টের মেয়র: ডেনিস ফুয়া

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর

ডেনিস ফুয়া ২০০৬ সাল থেকে সিঙ্গাপুরের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বশেষ ২০২০ সালের জুলাই মাসে জালান বেসার জিআরসিতে পুনরায় নির্বাচিত হন তিনি। ফুয়া ২০১৪ সাল থেকে সেন্ট্রাল সিঙ্গাপুর ডিস্ট্রিক্টের মেয়র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর (এনইউএস) থেকে ইংরেজিতে স্নাতক এবং গোল্ডেন গেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেন।

উত্তর-পশ্চিম মেয়র: অ্যালেক্স ইয়াম জিমিং

কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়

অ্যালেক্স ইয়াম জিমিং ২০১১ সালের মে মাসে প্রথম সংসদ সদস্য (এমপি) হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০১৫ এবং ২০২০ সালে মার্সিলিং-ইউ টি গ্রুপ রিপ্রেজেন্টেশন নির্বাচনী এলাকা (জিআরসি) এ পুনরায় নির্বাচিত হন।  ২০২০ সালের জুলাই মাসে তিনি নর্থ ওয়েস্ট ডিস্ট্রিক্টের মেয়র হন। তিনি জাতীয় উন্নয়ন বিষয়ক সরকারি সংসদীয় কমিটির (২০১৫-২০২০) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং সংস্কৃতি, সম্প্রদায় ও যুব জিপিসির সদস্যও ছিলেন।

তিনি ২০০৫ সালে কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

দক্ষিণ-পূর্ব জেলার মেয়র: মোহাম্মদ ফাহমি বিন আলীমান

লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়

মোহাম্মদ ফাহমি বিন আলীমান ২০২০ সালের জুলাই মাসে মেরিন প্যারেড গ্রুপ রিপ্রেজেন্টেটিভ নির্বাচনী এলাকার (জিআরসি) অধীনে গেইলাং সেরারাইয়ের সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি সাউথ ইস্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের (এসই সিডিসি) মেয়র হিসেবেও নিযুক্ত হন।

ফাহমি লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজিক্যাল সায়েন্স থেকে স্নাতক ডিপ্লোমা অর্জন করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Interim govt's delaying election process raising public concerns: Fakhrul

Criticising the chief adviser's recent suggestion to lower the voting age to 17, Fakhrul said the move would put the Election Commission (EC) on pressure.

22m ago