সম্পর্কে অবনতি: এক প্রান্তিকে কানাডায় ভারতীয় শিক্ষার্থী ৮৬ শতাংশ কমেছে
ভারতীয় শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য পছন্দের গন্তব্য ছিল কানাডা। তবে গত বছর দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। এক প্রান্তিকেই কমেছে ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী।
আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
আনুষ্ঠানিক তথ্য মতে, গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে মাত্র ১৪ হাজার ৯১০ জন ভারতীয় শিক্ষার্থী কানাডায় পড়তে যাওয়ার স্টাডি পারমিট বা অনুমতিপত্র পেয়েছেন। ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে স্টাডি পারমিট পেয়েছিলেন এক লাখ ৮ হাজার ৯৪০ শিক্ষার্থী। অর্থাৎ, স্টাডি পারমিট পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৬ শতাংশ কমেছে।
কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আপাতত এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই।
গত জুনে কানাডায় খুন হন নির্বাসিত শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর। এরপর সেপ্টেম্বরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দেশটির পার্লামেন্টে বলেন, হরদীপ সিং খুনের সঙ্গে ভারতীয় এজেন্টদের যুক্ত থাকার বিষয়ে তার সরকারের কাছে 'বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ' আছে।
এই ঘটনার জেরে দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরে, যা এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
মিলার বলেন, 'ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্র নিয়ে কাজ করার সক্ষমতা অর্ধেকে নেমে এসেছে'।
নয়াদিল্লির নির্দেশে অক্টোবরে ভারত থেকে দূতাবাসের দুই তৃতীয়াংশ (মোট ৪১) কর্মী প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় কানাডা।
মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, এই দ্বন্দ্বে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কানাডায় আসা বিদেশী শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ ছিল ভারতীয়রা। ২০২২ সালে নতুন করে দেশটিতে আসা শিক্ষার্থীর ৪১ শতাংশই ছিলেন ভারতীয়। সে বছর মোট দুই লাখ ২৫ হাজার ৮৩৫ জন ভারতীয় শিক্ষার্থী কানাডায় পড়তে যান।
কানাডার জন্য বিদেশী শিক্ষার্থীরা বড় একটি রাজস্বের উৎস। প্রতি বছর প্রায় ১৬ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার রাজস্ব আসে এই খাত থেকে।
পড়ালেখা শেষে সহজে কাজের অনুমতি পাওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পছন্দের গন্তব্য কানাডা।
সব মিলিয়ে কানাডায় ২০২৩ সালে এর আগের বছরের তুলনায় চার শতাংশ কম ভারতীয় শিক্ষার্থী গেছেন। চতুর্থ প্রান্তিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যায় বড় ধস নামার কারণেই এ পরিস্থিতি।
Comments