পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে ‘বাংলা’ করার দাবি মমতার

ভারতের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ফাইল ছবি: এএফপি
ভারতের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ফাইল ছবি: এএফপি

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নাম বদলে 'বাংলা' রাখতে হবে।

আজ শুক্রবার দ্য ডেইলি স্টারের নয়াদিল্লী সংবাদদাতা এই তথ্য জানিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা এই দাবি জানান। এ ছাড়া, একই চিঠিতে তিনি আরও দাবি করেন, বাংলা ভাষাকে শিগগির 'ধ্রুপদী ভাষার' মর্যাদা দিতে হবে।

তিনি এ বিষয়ে যুক্তি দেন, যদি ভারত ও পাকিস্তান, উভয় দেশে পাঞ্জাব নামে রাজ্য থাকতে পারে, তাহলে বাংলাদেশ নামে একটি দেশ ও বাংলা নামে একটি রাজ্যের অস্তিত্বও অসম্ভব নয়।

মমতা তার চিঠিতে আরও জানান, ভারতে বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী সংখ্যাগত দিক দিয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম।

পরবর্তীতে কলকাতায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।

সে সময় তিনি পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে 'বাংলা' রাখার দীর্ঘদিনের দাবি না মেনে নেওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।

'আমরা অ্যাসেম্বলিতে (রাজ্যের নাম বদলে বাংলা রাখার) প্রস্তাবটি দুই বার পাস করেছি এবং সব ধরনের সংশয় দূর করেছি। কিন্তু এখনো আমরা এই নাম পাইনি। যদি বোম্বের নাম বদলে মুম্বাই, ওড়িশা যদি ওডিসা হতে পারে, তাহলে কেন আমরা নতুন নাম পাব না? বাংলার গুরুত্ব কমিয়ে রাখা হচ্ছে', যোগ করেন তিনি।

মমতা আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গের ইংরেজি নামের বানান ইংরেজি বর্ণমালার একেবারের শেষের দিকের বর্ণ ডব্লিউ দিয়ে শুরু হয় দেখে অন্য রাজ্যের প্রতিনিধি আছেন এমন বৈঠকে কথা বলার সুযোগ পেতে পশ্চিমবঙ্গের কর্মকর্তাদের অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।

উল্লেখ্য, এ ধরনের বৈঠকে ইংরেজি বর্ণানুক্রমে কথা বলার সুযোগ পান রাজ্য প্রতিনিধিরা।

মোদিকে লেখা চিঠিতে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ভারতে ছয়টি ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, যেগুলো হল তামিল, সংস্কৃত, তেলেগু, কান্নাডা, মালায়ালাম ও ওডিয়া।

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই বাঙালিদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রয়েছে—এমন যুক্তি দিয়ে তিনি এই ভাষাটিকে ধ্রুপদী ভাষার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান চিঠিতে।

Comments

The Daily Star  | English

Leading univs withdrawing from cluster system

Undergraduate admission tests under the cluster system faces uncertainty for the 2024-25 academic year, as several prominent universities have decided to withdraw and conduct their own admission tests independently. 

7h ago