নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের বাড়িতে পুলিশি অভিযান, ল্যাপটপ ও মোবাইল জব্দ

নিউজক্লিকের সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ। ছবি: স্টেটসম্যান
নিউজক্লিকের সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ। ছবি: স্টেটসম্যান

ভারতের পুলিশ কয়েকজন সাংবাদিক ও লেখকের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে । সংবাদ ওয়েবসাইট নিউজক্লিকের তহবিলের উৎস নিয়ে তদন্ত সূত্রে এসব অভিযান চালানো হয় বলে জানা গেছে। 

আজ মঙ্গলবারের এই অভিযান নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।

রাজধানী দিল্লিতে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় সাংবাদিকদের মোবাইল ও ল্যাপটপ জব্দ করেছে পুলিশ।

কর্মকর্তারা নিউজক্লিকের বিরুদ্ধে আসা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তদন্ত করছেন। অভিযোগ মতে, চীন থেকে  ওয়েবসাইটটি তহবিল গ্রহণ করেছে। নিউজক্লিক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

সমালোচকরা জানান, এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কমানোর উদ্দেশ্যে পরিচালিত পরিকল্পিত হামলা।

নিউজক্লিকের সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ, সাংবাদিক অভিসার শর্মা, অনিন্দ্য চক্রবর্তী ও ভাষা সিংহের বাসায় অভিযান হয়েছে বলে জানা গেছে। জনপ্রিয় স্যাটায়ারিস্ট সঞ্জয় রাজাউরা ও ইতিহাসবিদ সোহেল হাশমির বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়।

কাউকে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

পুলিশ এখনো এই অভিযানের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।

তবে অভিসার শর্মা বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করেন। তিনি বলেন, পুলিশ তার ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করেছে।

ভাষা সিংও জানান, পুলিশ তার ফোন জব্দ করেছে।

সংবাদমাধ্যম এএনআই জানিয়েছে, এ মুহূর্তে দিল্লিতে অবস্থিত নিউজক্লিকের কার্যালয়ে অভিযান চলছে।

আগস্টে নিউ ইয়র্ক টাইমসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যেখানে অভিযোগ আনা হয়, নিউজক্লিক এক মার্কিন লাখপতির কাছ থেকে 'চীনের প্রোপাগান্ডা' ছড়ানোর জন্য অর্থ পেয়েছে।

এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ধনাঢ্য ব্যক্তি নেভিল রয় সিংহাম 'চীনের সরকারি গণমাধ্যমের' সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন। তিনি তার অলাভজনক সংগঠনের নেটওয়ার্ক ও ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে 'সারা বিশ্বে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য অর্থায়ন করেন।'

এ বিষয়ে ১৭ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর পুলিশ নিউজক্লিক ও সেখানে কর্মরত সাংবাদিকদের ইউএপিএ আইনে গ্রেপ্তার করে। যার ফলে তাদের গ্রেপ্তার অজামিনযোগ্য হয়ে পড়ে। নিউজক্লিক সব অভিযোগকে মিথ্যে বলে দাবি করেছে।

২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে সরকারি তদন্ত পরিচালিত হয়েছে। অভিযোগের শীর্ষে রয়েছে আর্থিক অনিয়ম।

বিশ্লেষকদের মতে, এসব ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ ও আশংকার সৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে। 

সাংবাদিক অধিকার বিষয়ক সংগঠন 'রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস' ভারতকে মুক্ত গণমাধ্যম সূচকের ১৬১তম অবস্থানে রেখেছে। তাদের মতে, ভারতের পরিস্থিতি 'সমস্যাপ্রদ' থেকে 'অত্যন্ত সমস্যাপ্রদ' হয়েছে। দেশটিকে তাজিকিস্তান (১৫৩) ও তুরস্কের (১৬৫) সঙ্গে তুলনা করে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস।

Comments

The Daily Star  | English

Climate finance: COP29 draft proposes $250b a year

COP29 draft deal says rich nations should pay the amount to fight climate change

1h ago