পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংঘর্ষ-সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

২ দলের কর্মীরা সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। ছবি: সংগৃহীত
২ দলের কর্মীরা সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় ৭ জেলায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে। ৮ জুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে গত মাস ১৯ জন সহিংসতায় নিহত হন, যার ফলে এ নির্বাচনকে ঘিরে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫।

আজ রোববার ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।

গতকাল শনিবার সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট শুরুর আগে শুক্রবার রাত থেকেই সংঘর্ষ ও সহিংসতা চলছে।

কুচবিহার, উত্তর দিনাজপুর ও মালদায় যথাক্রমে ৩, ৪ ও ১ জন নিহত হন। নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ১ জন করে নিহত হয়েছেন। এছাড়াও, শনিবারের সহিংসতায় মুর্শিদাবাদে ২০০ মানুষ আহত হন। কর্মকর্তারা জানান, মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ডে বাড়তি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দলের ৯ কর্মী নিহত হন। এছাড়াও, কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএম যথাক্রমে ৩, ২ ও ২ জন করে কর্মী নিহতের দাবি করে। 

শনিবার অন্তত ২টি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ধ্বংস করা হয়েছে। বারাসাতে ভোটকেন্দ্র ভাঙচুর হয়েছে, ব্যালট বাক্স চুরি হয়েছে। কোচবিহার জেলার দিনহাটায় ব্যালট পেপার পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে।

নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কেন্দ্রীয় বাহিনী 'ব্যাপকভাবে ব্যর্থ' হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস।

মোট ৬১ হাজার ভোটকেন্দ্রের মধ্য মাত্র ১৫ হাজার কেন্দ্রে আধাসরকারী কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। 

সর্বশেষ পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৪ মে। ওই নির্বাচনের দিন নিহত হয়েছিলেন ২৩ জন। ওই নির্বাচনে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ৩৪ শতাংশ আসন জিতেছিল তৃণমূলের প্রার্থীরা। বাকি আসনেও সিংহভাগ দখল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

 

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

3h ago