এসসিও জোটের ভার্চুয়াল সম্মেলনে যোগ দেবেন পুতিন, শি জিনপিং ও মোদি
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) নেতারা ভার্চুয়াল সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। ভারতের মধ্যস্থতায় এই ইউরেশীয় সংগঠনের সম্মেলনে ইরান ও বেলারুশকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে আলাপ হতে পারে।
আজ মঙ্গলবার এই সম্মেলনটি আয়োজিত হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিন এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। এটাই হবে ভাগনার বিদ্রোহ দমনের পর পুতিনের প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ঘটনা।
২০০১ সালে এসসিও গঠন করে চীন, রাশিয়া ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ। পরবর্তীতে ৮ সদস্যের এই জোটে ভারত ও পাকিস্তানও যোগ দেয়। এটি মূলত একটি রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা জোট, যাদের লক্ষ্য ইউরেশিয়ায় পশ্চিমা প্রভাবের মোকাবিলা করা।
এই জোটে ইরানের যোগ দেওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। তবে বেলারুশ একটি স্মারক চুক্তিতে সাক্ষর করবে, যার ফলে পরবর্তীতে তাদের সদস্যপদ পাওয়া সহজ হবে। এ মুহূর্তে এই ২ দেশ জোটে পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় আছে। দেশ ২টি পূর্ণ সদস্যপদ পেলে ইউরোপ ও এশিয়া, উভয় মহাদেশের পশ্চিম অংশে এসসিও জোটের প্রভাব বাড়বে।
মাত্র ২ সপ্তাহ আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্র সফর করে এসেছেন। সে সময় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন। ২ দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, 'তারা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ অংশীদারদের অন্যতম।'
এই সম্মেলনের মাধ্যমে নভেম্বরের পর প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখোমুখি হবেন শি ও মোদি।
গত ৩ বছর ধরে হিমালয়ে সীমান্ত বিবাদ নিয়ে ২ দেশের সম্পর্ক শীতল অবস্থায় রয়েছে।
এছাড়াও, প্রায় ১০ মাস পর মোদির সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফও একই মঞ্চে উপস্থিত থাকছেন। এর আগে সর্বশেষ এই ২ নেতা উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিত এসসিও সম্মেলনে অংশ নেন।
এই সম্মেলনে ভারত এসসিওর সভাপতিত্ব কাজাখস্তানের কাছে তুলে দেবে।
এসসিও সদস্য রাষ্ট্ররা এই সম্মেলনে আফগানিস্তান, সন্ত্রাস, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
Comments