ঘুরে আসুন গাজীপুরের এই ৫ স্থান
ঢাকার উপকণ্ঠে অবস্থিত গাজীপুর শিল্প নগরী হিসেবে পরিচিত। তবে এই জেলার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ও বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানও কিন্তু পর্যটকদের দৃষ্টি এড়ায় না। সাফারি পার্ক, বিভিন্ন রিসোর্ট এবং প্রাকৃতিক সবুজ দৃশ্য দেখতে চান, এমন পর্যটকদের জন্য মধ্যে গাজীপুর খুবই জনপ্রিয়।
তাই ১ দিনের জন্য কিংবা কয়েকদিন সময় হাতে নিয়ে যদি গাজীপুরে ঘুরতে যেতে চান, তাহলে জেলার এই ৫টি স্থানে যেতে পারেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় এই সাফারি পার্কটি অবস্থিত। বিশাল আয়তনের এই পার্কটি অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল। পর্যটকবাহী বিশেষ বাসে করে পার্কের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় আপনি সিংহ, বাঘ, জেব্রা, হরিণসহ আরও অনেক চমকপ্রদ প্রাণীর দেখা পাবেন।
পাখির অভয়ারণ্যে দেখা মিলবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মনোমুগ্ধকর রঙিন পাখি। এ ছাড়াও পার্কটিতে সরীসৃপ প্রাণী, একটি প্রজাপতি বাগান, একটি পিকনিক স্পট এবং শিশুদের একটি খেলার মাঠ রয়েছে। গাজীপুরে যদি কিছুটা রোমাঞ্চ উপভোগ করতে চান, তাহলে সাফারি পার্ক সেরা জায়গা।
নুহাশ পল্লী
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ পিরুজালী গ্রামে এই বাগানবাড়িটি গড়ে তোলেন। তার ছেলে নুহাশ হুয়ায়ূনের নামে তিনি এর নামকরণ করেছেন। বাগানবাড়িটি গাজীপুর শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। শান্ত সবুজে ঘেরা পরিবেশে অবস্থিত নুহাশপল্লী নিরিবিলি ও শৈল্পিক পরিবেশে একটি দিন কাটানোর জন্য আদর্শ জায়গা। নুহাশপল্লীতে বিভিন্ন ছবি ও ভাস্কর্য দেখতে পাবেন। সেইসঙ্গে দেখবেন পুকুর, সেতু এবং কুটির, যেগুলোতে আছে প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের সৃজনশীলতার ছোঁয়া।
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের বৃহত্তম জাতীয় উদ্যানগুলোর মধ্যে একটি। এটি গাজীপুর শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং এর আয়তন ৫ হাজার হেক্টর। এই উদ্যান বানর, শিয়াল, বন্য শূকর ও পাখিসহ নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীদের আবাসস্থল। তাই পার্কে ঘুরে বেড়ানোটা আপনার কাছে উপভোগ্য হয়ে উঠবে। পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে ভালো সময় কাটানোর জন্য এটি একটি আদর্শ পিকনিক স্পট।
অসংখ্য রিসোর্ট
গাজীপুরে খুব সুন্দর অনেকগুলো রিসোর্ট রয়েছে যেগুলো শহরের কোলাহল থেকে বেরিয়ে এসে প্রিয়জনদের সঙ্গে একাকী সময় কাটানোর এবং শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশে কিছুটা মানসিক শান্তি পাওয়ার দারুণ সুযোগ। বেশিরভাগ রিসোর্টে সুইমিং পুল, কটেজ, ভিলা ও বুফে খাবারের সুবিধা রয়েছে।
এসব রিসোর্টে ব্যাডমিন্টন, টেনিস খেলা, কায়াকিং কিংবা স্পাতেও আপনি সারাদিন কাটাতে পারেন। গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত এই রিসোর্টগুলো ১-২ দিন থাকার জন্য দারুণ পছন্দ হতে পারে।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
গাজীপুর গেলে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোম ক্যাম্পাসটি দেখতে ভুলবেন না। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি সর্বস্তরের শিক্ষাকে দূরশিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সকল স্তরের জনগনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গাজীপুরের বোর্ড বাজারে অবস্থিত এই ক্যাম্পাসটি সবুজে সুশোভিত। ক্যাম্পাসে বৈচিত্র্যময় শিক্ষার্থীদের মিলনমেলাও দেখতে পারবেন। সেখানে ১ দিন কাটালে এর সৌন্দর্য আরও ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন।
অনুবাদ করেছেন আহমেদ হিমেল
Comments