উড়োজাহাজ ভ্রমণে যে কাজগুলো করা উচিত নয়

ছবি: সংগৃহীত

উড়োজাহাজ অন্যান্য যানবাহনের চেয়ে বেশ আলাদা। এতে যেমন মেনে চলতে হয় নানা নিয়ম-কানুন, তেমনি ছোট পরিসরের এই যানবাহনে একসঙ্গে অনেক যাত্রী ভ্রমণ করে বিধায় কিছু শিষ্টাচার অনুসরণ করতে হয়। নয়তো অন্যদের বিরাগভাজন হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

চলুন জেনে নিই উড়োজাহাজ ভ্রমণে কোন কাজগুলো করা উচিত নয়-

করিডোর ব্লক করবেন না

বিমানবালা অভ্যর্থনা জানানোর পর উড়োজাহাজে চড়ে গেলে ২ পাশের সিটের মাঝখানের করিডোরে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না। মাথার ওপর থাকা বিনে জিনিসপত্র রাখার সময় যাতে অন্যদের অপেক্ষা করতে না হয় এ বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। তাই ভ্রমণকালে যা যা প্রয়োজন হবে তা আগে থেকেই প্রস্তুত করে রাখতে হবে। কার্ডিগান, ল্যাপটপ, বই বা খাবার ক্যারি অন ব্যাগে রাখতে হবে, যা সামনের সিটের নিচে থাকলে সহজেই হাতের নাগালে পাওয়া যাবে।

জোরে রিংটোন দিয়ে রাখবেন না

কখনও কখনও দীর্ঘ ভ্রমণপথে সময় কাটানোর জন্য অনেকে ঘুমকে বেছে নিতে পারে। তবে ইঞ্জিনের গুঞ্জন, বাচ্চাদের দুষ্টুমি, অন্যের গল্পের শব্দের জন্য এটি সবসময় সহজ নাও হতে পারে। একবার ঘুমানোর পর যদি কারো ফোন বাজতে শুরু করে তাহলে বিরক্ত হওয়াই স্বাভাবিক। বিরক্তির কারণ হতে না চাইলে ফোন সাইলেন্ট মোডে রাখা উচিত। জাপানিরা একে 'ম্যানার মোড' বলে, কারণ এতে বোর্ডে থাকা সবার শান্তি ও নীরবতাকে সম্মান জানানো হয়।

হেডফোন ছাড়া গান শুনবেন না/ ভিডিও দেখবেন না

প্রত্যেকে নিজের পছন্দের গান শুনতে ভালোবাসে। কিন্তু ভেবে দেখুন, যাত্রাপথের ক্লান্তি কমাতে প্লেনের ৫০০ জন যাত্রী যদি একই সময়ে তাদের প্রিয় গান স্পিকারে শুনতে থাকে তাহলে অসহ্য ঠেকবে। তাই হেডফোন ব্যবহার করা এ ক্ষেত্রে আবশ্যকীয়। আপনার বাচ্চারাও যাতে এই নিয়মটি অনুসরণ করে তা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ বাচ্চাদের শোগুলোর আওয়াজও বিরক্তির উদ্রেক ঘটাতে পারে। এর পাশাপাশি, জোরে গল্প না করারও চেষ্টা করবেন।

হেলান দিলে থাকতে হবে সতর্ক

প্লেনের আসনের স্থান কম থাকার কারণে অনেকে পেছন দিকে সিটে হেলান দিয়ে বসতে চান। দীর্ঘপথে ঘুমাতে চাইলে আসন সোজা রাখলে স্বাচ্ছন্দ্য না আসতে পারে। তবে এতে পেছনের যাত্রীদেরও অসুবিধা হতে পারে। তাই শিষ্টাচার অনুসরণ করে সিটে হেলান দেয়ার আগে পেছনে তাকাতে হবে এবং পেছনে থাকা ব্যক্তিকে সংকেত দিতে হবে। নয়তো তাদের ল্যাপটপ বা সিটের পেছনের ট্রে টেবিলে খাবার থাকতে পারে এবং হঠাৎ হেলানে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

তীব্র ঘ্রাণযুক্ত খাবার খাবেন না

মনে রাখতে হবে, উড়োজাহাজে স্থান সীমিত। তীব্র ঘ্রাণের খাবার খেলে গন্ধ ছড়িয়ে পড়বে এবং সবাই বিরক্ত হবে। তাই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

জুতা-মোজা খুলবেন না

জুতা, মোজা খুললে বাজে গন্ধ ছড়াতে পারে। এ ছাড়া প্লেনের মেঝে অপরিষ্কার থাকলে তা পায়ে লেগে যেতে পারে। তাই নিজের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে ও অন্যদের বিরক্তির কারণ হওয়া এড়াতে জুতা-মোজা পরে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

এ ছাড়া যাত্রাপথে বিমানের ক্রুসহ অন্যের সঙ্গে বিনয়ী আচরণ করতে হবে। অবতরণের পর করিডোরে ভিড় না করার চেষ্টা করতে হবে। আর নিজে নিরাপদ থাকার জন্য ও অন্যকে নিরাপদ রাখার জন্য উড়োহাজের নিয়মকানুন সব মেনে চলতে হবে।

তথ্যসূত্র: স্কাইরিফান্ড, ওয়াশিংটন পোস্ট, রিডার্স ডাইজেস্ট

Comments

The Daily Star  | English

US tariff talks: First day ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington, DC, yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

7h ago