কানাডার নির্বাচন

ট্রাম্পবিরোধী বক্তব্য দিয়েই কি বাজিমাত করলেন কার্নি

কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি অটোয়ায় সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছেন। ২৯ এপ্রিল, ২০২৫। ছবি: রয়টার্স

সোমবার কানাডিয়ানরা ফেডারেল নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। কানাডার একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সরকার গঠনের পথে আছে মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি। 

তবে কানাডার এবারের নির্বাচনে প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন।

বিশ্লেষকদের ধারণা ছিল, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকির পাশাপাশি কানাডাকে ৫১তম রাজ্যে পরিণত করার ঘোষণায় কানাডিয়ানরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন তা নির্বাচনের ফল থেকে বোঝা যাবে।

তাই কানাডার নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন। তার অদৃশ্য প্রভাবের দিকে দৃষ্টি ছিল পুরো বিশ্বের।

মার্ক কার্নিও যেন সেই সুযোগকেই কাজে লাগালেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন, যা তাকে ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। তিনি ভোটারদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধ ও অন্যান্য হুমকি মোকাবিলার জন্য তিনিই সঠিক নেতা।

জাস্টিন ট্রুডোর কাছ থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্চে নির্বাচনের ঘোষণা দেন মার্ক কার্নি। তারপর থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তিনি যেসব বক্তব্য দিয়েছিলেন তার কিছু কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হলো।

২৪ এপ্রিল: ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় এক বক্তৃতায় কার্নি বলেছিলেন, তিনি চান না কানাডা উত্তর আমেরিকার গাড়ি শিল্পে কোনো ভূমিকা পালন করুক। তার ভাষ্য ছিল, 'আমার কথা পরিষ্কার—এখানে কী হবে তা আমরাই সিদ্ধান্ত নেব।'

২২ এপ্রিল: কুইবেকের ট্রয়েস-রিভিয়েরেস শহরে শক্তিশালী ম্যান্ডেটের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেছিলেন, 'আমরা কুইবেক রক্ষা করতে পারব, আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব এবং কানাডাকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলব। আপনারা যদি শক্তিশালী সরকার চান, যারা কুইবেককে রক্ষা করবে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, আপনাকে অবশ্যই তাদের ভোট দিতে হবে।'

১৬ এপ্রিল: অন্টারিওর হ্যামিলটনে জনতার উদ্দেশে কার্নি বলেন, 'ট্রাম্পের কৌশল হচ্ছে আমাদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া, যেন আমেরিকা আমাদের মালিকানা নিতে পারে।'

৩ এপ্রিল: কানাডার গাড়িতে মার্কিন শুল্কের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা ঘোষণা করার পর তিনি বলেছিলেন, '৮০ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব অর্থনৈতিক নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে বিশ্বাস ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে জোট গঠন করা হয়। আমাদের মধ্যে পণ্য ও পরিষেবার অবাধ-উন্মুক্ত বিনিময় গুরুত্ব পেয়েছিল, যা শেষ হয়েছে। এটি একটি ট্র্যাজেডি।'

২৩ মার্চ: রাজা চার্লসের ব্যক্তিগত প্রতিনিধি গভর্নর জেনারেল নির্বাচনের অনুরোধ অনুমোদন করার পর কার্নি বলেছিলেন, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অন্যায্য বাণিজ্য কর্মকাণ্ড ও আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকির কারণে আমরা সবচেয়ে বড় সংকটের মুখোমুখি হয়েছি।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago